জ্বালানি তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা কমিয়ে গেজেট জারি।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা কমিয়ে গেজেট জারি করেছে সরকার। ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রোল ও অকটেনের দাম আজ সোমবার (২৯ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টা থেকে কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী, ভোক্তা পর্যায়ে লিটারপ্রতি ডিজেল ১১৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৯ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা থেকে ১০৯ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা থেকে ১৩০ টাকা এবং পেট্রোলের দাম ১৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ১২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

রাতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড রোববারের (২৮ আগস্ট) প্রজ্ঞাপনে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডিজেলের ওপর আরোপীয় সমুদয় আগাম কর থেকে অব্যাহতি এবং আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশের পরিবর্তে ৫ শতাংশ নির্ধারণ করার ফলে ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল, কেরোসিন, অকটেন ও পেট্রোলের মূল্য সমন্বয় করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, সোমরাত ১২টার পর থেকে ডিপোর ৪০ কিলোমিটারের মধ্যে ভোক্তাপর্যায়ে খুচরা মূল্য প্রতি লিটার ডিজেল ১০৯ টাকা, কেরোসিন ১০৯ টাকা, অকটেন ১৩০ টাকা ও পেট্রোল ১২৫ টাকা।

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুকে উদ্ধৃত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কিছুটা কর কমানোয় জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করা হলো। বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলে আবারও সমন্বয় করা হবে।

‘প্লাটস অনুসারে গত ২৬ আগস্ট প্রতি ব্যারেল ডিজেলের মূল্য ছিলো ১৪৭ দশমিক ৬২ মার্কিন ডলার। সে অনুযায়ী, প্রতি লিটার ডিজেলের মূল্য পড়ে ১২৮ দশমিক ৬১ টাকা। অর্থাৎ ১০৯ টাকা ধরে ডিজেল বিক্রয় করলে প্রতি লিটারে বিপিসির লোকসান হবে ১৯ দশমিক ৬১ টাকা।’

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন বিগত ছয় মাসে (গত ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত) জ্বালানি তেল বিক্রি করে ৮ হাজার ১৪ কোটি ৫১ লাখ টাকা লোকসান দিয়েছে বলেও জানায় জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।

গত ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১০টায় জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বেড়ানোর সিদ্ধান্ত জানানো হয়। ওইদিনই রাত ১২টার পর থেকে নতুন দাম কার্যকর হয়।

২০২১ সালের ৪ নভেম্বর ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়িয়েছিলো সরকার। তখন এ দুই ধরনের জ্বালানির দাম লিটারপ্রতি ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়। তবে ওই সময় পেট্রোল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছিলো। এর আট মাস পর গত ৫ আগস্ট দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়। অথচ অকটেন এবং পেট্রোল দেশেই উৎপাদিত হওয়ায় এর দাম বাড়ানোয় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।