যাত্রীর চাপে দরজা বন্ধ না হওয়ায় বন্ধ ছিলো মেট্রোরেল

যাত্রীর চাপে দরজা বন্ধ না হওয়ায় বন্ধ ছিলো মেট্রোরেল

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : বিঘ্নিত হয়েছে মেট্রোরেলের সেবা। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বিকেল ৪টা ৩৮ মিনিট থেকে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা বন্ধ ছিলো ট্রেন চলাচল। ইফতারের আগে ঘরে ফেরার তাড়া থাকায় ওই সময়ে মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোতে যাত্রীর ঢল ছিলো। ট্রেন বন্ধ হওয়ায় বৃষ্টির মধ্যে হাজার হাজার যাত্রী দুর্ভোগের মধ্যে পড়ে।

স্টেশন সংশ্লিষ্টরা জানান, কারিগরি ত্রুটির কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তবে মেট্রোরেলের নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সরকারি কোম্পানি ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন ছিদ্দিক জানান, কারিগরি ত্রুটি নয়, যাত্রীদের বিশৃঙ্খলার কারণে ট্রেন বন্ধ হয়েছিলো।

ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, সচিবালয় স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম-২ এ উত্তরাগামী ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা যাত্রীদের ভিড় ছিলো। কিছুসংখ্যক যাত্রী ট্রেনে উঠতে প্ল্যাটফর্মের দরজা আটকে দাঁড়ান। তাঁদের কারণে দরজাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হচ্ছিলো না। মেট্রোরেলের ট্রেনের এবং প্ল্যাটফর্মের দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে তিনবার বন্ধ হওয়ার চেষ্টা করে। মাঝখানে প্রতিবন্ধকতা থাকলে বন্ধ হয় না। তিনবারের চেষ্টায় বন্ধ না হলে, দরজা খোলা থাকে। দরজা খোলা থাকলে ট্রেন চলে না। এ কারণেই ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো।

এ পরিস্থিতির জন্য যাত্রীদের অসচেতনতাকে দায়ী করেছেন এম এ এন ছিদ্দিক। 

তিনি জানান, কিছু যাত্রী চেষ্টা করেছেন অন্যদের দরজা থেকে সরাতে। তাঁরা সরেন নি। রমজানের কারণে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ কঠোর হচ্ছে না। রোজার পর এমন বিশৃঙ্খলা অব্যাহত থাকলে দায়ীদের গ্রেপ্তার করা হবে। এর আগে যেমন ঘুড়ি উড়ানোর কারণে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো।

সচিবালয় স্টেশনে সমস্যার কারণে বাকি ১৬ স্টেশনেও ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। থেমে থাকা ট্রেনগুলোতে হাজার হাজার যাত্রী ছিলেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই জানিয়েছেন, ১০ থেকে ২০ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে ট্রেন বা স্টেশনে আধঘণ্টা বসে থাকতে হয়েছে।

ট্রেন চলাচল বন্ধ হওয়ায় অনেক র‍্যাপিড ও এমআরটি পাসধারীদের বের হওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি যাঁরা সিঙ্গেল ট্রিপের জন্য টিকেট কেটেছিলেন, তাঁদের টাকা ফেরত দেওয়া হয়।