কারওয়ান বাজারের স্থানান্তরের কাজ শুরু

কারওয়ান বাজারের স্থানান্তরের কাজ শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নিজস্ব আঞ্চলিক কার্যালয় সরানোর কাজ শুরু করেছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) এ কাজ শুরু হয়।

এদিন বস্তা-ট্রাঙ্কে করে অফিসের মালপত্র ভরে নম্বর দিয়ে সেগুলো ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রথমদিন বিকেল পর্যন্ত অফিসের সব মালামাল স্থানান্তর করা সম্ভব হয় নি। এজন্য আরও কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানা গেছে। মোহাম্মদপুরের শিয়া মসজিদ সংলগ্ন মোহাম্মদপুর কমিউনিটি সেন্টারে এখন থেকে ৫ নম্বর আঞ্চলিক কার্যালয়ের কার্যক্রম চলবে।

কারওয়ান বাজারে ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় ভবনটির নিচতলায় রয়েছে ১৭৬টি পাইকারি আড়ত। ঈদের পর সেগুলো গাবতলীতে স্থানান্তর করা হবে। কয়েক বছর আগেই ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ঘোষণা করে ডিএনসিসি। এরপর থেকেই আঞ্চলিক কার্যালয়টি সরিয়ে নেওয়ার আলোচনা চলছিলো।

ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ বলেন, ডিএনসিসির আঞ্চলিক কার্যালয় স্থানান্তরের মাধ্যমে কারওয়ান বাজারের স্থানান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঈদের আগে অফিসের সবকিছু সরিয়ে নেওয়া হবে। ঈদের পর ভবনটি অপসারণ করা হবে। তখন আড়তগুলোও সরিয়ে নেওয়া হবে।

এদিকে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের বিষয়ে গত ১৮ মার্চ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় করে ডিএনসিসি। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তখন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম ঈদের পর কারওয়ান বাজারের পাইকারি ও খুচরা আড়তগুলো গাবতলীতে স্থানান্তর করা হবে বলে ঘোষণা দেন। তখন আড়তদারেরা মুখ ফুটে কিছু না বললেও, এখন তাঁরা আড়ত সরাতে চাইছেন না।

কারওয়ানবাজারে সাড়ে ২৪ বিঘা জমিতে ডিএনসিসির চারটি মার্কেট রয়েছে। সবগুলো মার্কেটই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত। মার্কেটগুলো গাবতলীতে সরিয়ে কারওয়ান বাজারে একটি বাণিজ্যিক হাব তৈরি করতে চায় ডিএনসিসি।