ঝিনাইদহের ডুলি পাগলীর খোঁজ নেয় না কেউ

ঝিনাইদহের ডুলি পাগলীর খোঁজ নেয় না কেউ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ; রাম জোয়ার্দার, কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) : ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের জহুরা খাতুনের বয়স ৬২ বছর। সবাই তাঁকে ডুলি পাগলি বলে চেনেন। ভিক্ষা করে জীবিকা চালাতেন তিনি। থাকতেন মানুষের ঘরের বারান্দায়। এখন অসুস্থ হয়ে পড়ায়, তাঁর জায়গা হয়েছে কোটচাঁদপুর পৌরসভার সলেমানপুর ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সড়কের পাশের একটি ঝুপড়িতে।  সরকারের কোনও সুযোগ-সুবিধা আজও পান নি তিনি।

জানা গেছে, ঝিনাইদহের কালিগঞ্জে জহুরা খাতুনের বিয়ে হয়েছিলো। স্বামী মৃত খালেক হোসেন। ওই সংসারে একটি কন্যা সন্তান হয় তাঁদের। এরপর হঠাৎকরেই স্বামী মারা যান। সেটাও আজ ৩০ বছর হয়ে গেছে।

সেই থেকে তাঁর আশ্রয় কোটচাঁদপুরের সলেমানপুরের দাস পাড়ায়। থাকতেন মানুষের বারান্দায়-বারান্দায়। জীবিকার জন্য করতেন ভিক্ষা। তা দিয়ে নিজে খেতেন আর মেয়েকে খাওয়াতেন। এভাবে মেয়েটি বড় হলে স্থানীয়রা বিয়ে দিয়ে দেন। ওই সংসারে মেয়েটির দুইটি বাচ্চা আছে। তবে হঠাৎকরেই গত দুই বছর আগে মেয়েটি মারা যায়। তাতে আরও ভেঙ্গে পড়েন জহুরা খাতুন। বয়সের ভারে কিছুটা ভারসাম্যহীন হয়ে গেছেন তিনি।

বর্তমানে অনেক অসুস্থ জহুরা। ভিক্ষা করার সামর্থ্যও নেই তাঁর।