বাঙলার কাগজে মুক্তিযোদ্ধার কলাম : ঘরের ডলার ব্যাংকে ফেরানোর নতুন উদ্যোগ বাংলাদেশ ব্যাংকের
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : বাঙলার কাগজে বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবেশ চন্দ্র সান্যালের একটি কলাম প্রকাশিত হওয়ার পর এবার ঘরের ডলার ব্যাংকে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা রোববার (৩ ডিসেম্বর) বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনে নিয়োজিত দেশের সকল ব্যাংকে পাঠানো হয়েছে। এর আগে গত ২৫ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর প্রতি বীর মুক্তিযোদ্ধার কলাম শিরোনামে ঘরে রাখা ডলার ব্যাংকে ফেরানোর বিষয়ে বাঙলার কাগজে একটি লেখা প্রকাশিত হয়।
জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার ফলে বিদেশ ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরে খোলা রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট (আরএফসিডি) হিসাবে জমার ওপর এখন থেকে ৭ শতাংশের বেশি সুদ দেবে ব্যাংক। এ ছাড়া এ ধরনের হিসাব থেকে দেশের বাইরে অর্থ পাঠানো, একাধিক কার্ড ইস্যুসহ বিভিন্ন সুবিধা পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আরএফসিডি হিসাবে একজন ১০ হাজার ডলার জমা রাখতে পারেন। এখন থেকে এ জমার ওপর ব্যাংকগুলো বেঞ্চমার্ক রেটের সঙ্গে আরও অন্তত দেড় শতাংশ সুদ দেবে। এই হিসাবে জমার বিপরীতে দুটি সাপ্লিমেন্টারি কার্ড ইস্যু করা যাবে। সন্তান বা ভাইবোনসহ তাঁর ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তি সেই কার্ড ব্যবহার করতে পারবেন। এই অ্যাকাউন্ট থেকে দেশের বাইরে শিক্ষার খরচ পাঠানো যাবে। আবার নিজের ওপর নির্ভরশীল তথা– স্ত্রী বা স্বামী, সন্তান, ভাইবোন, পিতামাতার চিকিৎসার খরচও এখান থেকে বহন করা যাবে।
বেঞ্চমার্ক রেট বলতে এসওএফআর, লাইবর, ইউরিবরের মতো রেফারেন্স রেট বা সংশ্লিষ্ট দেশের মুদ্রার সুদহারের আদর্শ নির্দেশককে বোঝানো হয়। এর মাধ্যমে সেখানকার আমানত, ঋণ, আন্তঃব্যাংক লেনদেনে সুদহার কেমন তার একটি ধারণা পাওয়া যায়। বর্তমানে ডলার, ইউরোসহ অনেক মুদ্রার বেঞ্চমার্ক সুদহার সাড়ে ৫ শতাংশের বেশি। এর মানে এ ধরনের জমার ওপর ৭ শতাংশেরও বেশি সুদ পাওয়া যাবে।
একজন ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, সাধারণত যাঁরা দেশের বাইরে বেশি যান কিংবা যাঁদের ছেলেমেয়ে বাইরে পড়ালেখা করেন, তাঁরাই বাজার থেকে নগদ ডলার কিনে ঘরে রেখে থাকতে পারেন। এখন অনেকেই ডলার কিনে ধরে রাখায় বাজারে নগদ ডলারের সঙ্কট তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় ঘরে রাখা ডলার ব্যাংকে আনতে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কেউ যে কোনও প্রয়োজনে দেশের বাইরে গিয়ে ফেরার পর আরএফসিডি হিসাব খুলে ১০ হাজার ডলার পর্যন্ত জমা রাখতে পারেন। কেউ হয়তো যাওয়ার সময় ৫০০ ডলার সঙ্গে নিয়েছিলেন। ফেরার পর ১০ হাজার ডলার দিয়ে অ্যাকাউন্ট করলেও কোনও প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে না। মূলত মানুষের হাতে থাকা ডলার ব্যাংকে আনতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।