ভারত-ইসরায়েলের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে

ভারত-ইসরায়েলের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : ভারত ও ইসরায়েলের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা সরঞ্জামের অন্তর্ভুক্তি ছাড়াই, ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন ভারতে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত নাওর গিলন।

তিনি জানান, ৩০ বছর আগে দুই দেশের মধ্যে শুরু হওয়া এ কূটনৈতিক সম্পর্ক কতোটা বৃদ্ধি পেয়েছে, তা এই বাণিজ্য বৃদ্ধির পরিমাণ থেকেই বোঝা যায়।

ভারতে বিনিয়োগের ব্যাপারে গিলন জানান, প্রায় ৩ শটি ইসরায়েলি কোম্পানি ভারতে বিনিয়োগ করেছে। পুনেতে অবস্থিত এমডকস সবচেয়ে বড় ইসরায়েলি কোম্পানি, যেখানে ১৪ হাজার ভারতীয় কর্মচারী কাজ করছে।

তা ছাড়া তিনি জানান, ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর যখন ইসরায়েল সফরে গিয়েছিলেন; তখন তিনি এফটিএ (মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল) নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। যদিও নানা প্রতিবন্ধকতায় তা এখন পর্যন্ত শুরু করা সম্ভব হয় নি। তবে নাওর গিলন আশা করছেন যে, অতি দ্রুত তাঁরা সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে এফটিএ চূড়ান্ত করতে সক্ষম হবেন।

ভারত ও ইসরায়েলের সম্পর্ক অত্যন্ত বন্ধুত্বপূর্ণ। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমবারের মতো ইসরায়েল সফরে যান। এটিই ইসরায়েলে কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রথম সফর। সফরে মোশে হোলজবার্গের সঙ্গে দেখা করেন মোদি। আর ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু, হোলজবার্গ এবং স্যামুয়েলের সঙ্গে মুম্বাই সফরে আসেন।

প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ভারত এখন ইসরায়েলের সামরিক সরঞ্জামের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ইসরায়েলের মোট রপ্তানির ৪৬ শতাংশই ভারতে রপ্তানি করা হয়। রাশিয়ার পর ইসরায়েলই ভারতে সামরিক সরঞ্জামের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী।

তবে এ ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক শুধু প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়। কৃষি ও পানি ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে, পানি সঙ্কট মোকাবিলার পদ্ধতি নির্মাণে ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা মাশাভের সঙ্গে একত্রে কাজ করছে ভারত।