মিরপুর-পল্লবীতে ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনায় ৩০ জন গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : ঢাকার মিরপুর ও পল্লবীতে ৭টি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনায় ৩০ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে মিরপুর থানার পুলিশ ১৩ জনকে, পল্লবী থানার পুলিশ ৮ ও ডিবি ৯ জনকে গ্রেপ্তার করে। মিরপুরের ১৩ জনের মধ্যে ১১ জনকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
গতকাল শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) ও আজ শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে অভিযান চালিয়ে থানা-পুলিশ ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
পুলিশ বলছে, প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্য ও বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, গ্রেপ্তার আটজনকে এরই মধ্যে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাঁদের সবাই রিকশাচালক। রাস্তায় ট্রাফিক পুলিশ যথাযথভাবে আইন প্রয়োগ করার কারণে তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন।
পুলিশের মিরপুর থানার ওসি মোস্তাজিরুর রহমান বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, মিরপুর এলাকার ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ১৩ জনের মধ্যে কেউ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক, আবার কেউ রিকশার মালিক। তাঁরা কী কারণে হামলা চালিয়েছেন, এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাবে না বলেও জানান তিনি। তবে আদালত সূত্র জানিয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১১ জনকে আজ আদালতের মাধ্যমে ২ দিনের রিমান্ডে ও ২ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে নয়জনকে গ্রেপ্তারের পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ আজ বিকেলে মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে। সেখানে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হামলা। সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এবং পুলিশের মনোবল ভেঙে দিতেই এ হামলা চালানো হয়েছে। এর পেছনে হামলাকারীদের ‘বড় ভাই’ রয়েছে। তাঁদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। ট্রাফিক পুলিশ প্রতিবন্ধী রিকশাচালককে মারধর করেছে—এমন অপপ্রচার চালিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশার মালিক, চালক ও মোটর ব্যাটারি ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এতে ইন্ধন দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ঢাকার মিরপুর ও পল্লবী থানা এলাকার সাতটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে গতকাল ব্যাটারিচালিত রিকশা-অটোরিকশার চালকেরা হামলা চালিয়েছেন। এতে এক কনস্টেবল আহত হন।
পুলিশ বলছে, এর আগে গতকাল সকালে পল্লবীর কালশী এলাকার মূল সড়ক থেকে ব্যাটারিচালিত দুটি রিকশা জব্দ করা হয়। এ ঘটনার পর বেশ কয়েকজন সংঘবদ্ধ হয়ে মিরপুর ১২, কালশী মোড়, সাগুফতা মোড়, মিরপুর ১০, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরসহ সাতটি ট্রাফিক পুলিশ বক্সে প্রায় একই সময়ে হামলা চালান এবং ভাঙচুর করেন। এ সময় তাঁরা ভ্যান ও রিকশায় করে ইটপাটকেল নিয়ে আসেন। মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় হামলায় আহত হন কনস্টেবল মিজানুর রহমান। এ ঘটনায় মিরপুর ও পল্লবী থানায় দুটি মামলা হয়েছে।