রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের রেকর্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ ও ডন; রাজশাহী : রাজশাহীর উপর দিয়ে শনিবার থেকে মাঝারি তাপদাহ বইতে শুরু করেছে। রোববার (৯ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৮ দশমিক ১ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো মাত্র ১৮ শতাংশ। আবহাওয়া অফিস এ তাপদাহকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বলছে।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে মৃদু, ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে মাঝারি এবং ৪০ থেকে ৪২ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে তীব্র তাপদাহ হিসেবে অবিহিত করা হয়।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল উদ্দীন জানান, রাজশাহীর উপর দিয়ে মাঝারি তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। রোববার বিকেল ৩ টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৮ দশমিক ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো মাত্র ১৮ শতাংশ। আগের দিন শনিবার তাপমাত্রা ছিলো ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ১৭ শতাংশ। শুক্রবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিলো ১৪ শতাংশ।
তিনি বলেন, ‘শিগগিরই তাপদাহ যাচ্ছে না। আরো কয়েকদিন এ তাপদাহ চলবে। তবে বৃষ্টিপাত হলে কিংবা আকাশ মেঘলা হলে তাপদাহ কমে আসবে।’
তিনি আরও জানান, বাতাসের আর্দ্রতা ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ থাকাটা স্বাভাবিক। আর্দ্রতা বেশি থাকলে তাপদাহ কম অনুভূত হতো। তাপদাহ বৃদ্ধির সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা কমে আসায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, আর্দ্রতা কম থাকলে মানুষ ঘামে না। ঘাম বের হবার সাথে সাথেই শুকিয়ে যায়। ঘরে বা ছায়ায় থাকলে গরম কম লাগবে। তবে সূর্যের তাপমাত্রা বেশি অনুভূত হয়। অন্যদিকে তাপমাত্রার সঙ্গে আর্দ্রতা বাড়লে গরম বেশি অনুভূত হয়। এ সময় মানুষ বেশি ঘামে। তাই খুবই অস্থির লাগে।
এদিকে সূর্যের প্রখর তাপে পুড়ছে খেটে খাওয়া মানুষসহ পশু পাখি গাছপালা। তীব্র তাপে মানুষজন ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। রোদের তাপে কাজ করতে পারছেন না খেটে খাওয়া মানুষগুলো। ঘর থেকে বের হলেই গরম হাওয়া আর রোদের তাপে শরীর পুড়ে যাচ্ছে। চোখমুখ জ্বালা করছে।