রাজশাহীর বাঘা পৌরসভা নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতাসীন দল
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ ও ডন; লিয়াকত হোসেন, রাজশাহী : রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পৌরসভা নির্বাচন খুবই সন্নিকটে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ওই ভোটগ্রহণ চলবে। এরইমধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও প্রভাব বিস্তারের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে প্রচার-প্রচারণা।
এবার বাঘা পৌরসভা নির্বাচনে ব্যাপক জনপ্রিয়তা নিয়ে মেয়র পদে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্কাস আলী। তিনি জগ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীকের শাহীনুর রহমান পিন্টু। তবে ধারে কাছেও নেই অন্য দলের সমর্থক প্রার্থীরা।
নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহীনুর রহমান পিন্টু অভিযোগ করে বাঙলার কাগজ ও ডনকে জানান, নৌকার নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণার অফিস পুড়িয়ে দিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্কাস আলীর কর্মী সমর্থকরা। এ বিষয়ে তাঁরা থানায় ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ করেছেন।
‘বর্তমান সরকার উন্নয়নের সরকার- বিবেচনা করলে আমার বিশ্বাস, জনগণ নৌকাকে ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে আমাকে জনগণ বিজয়ী করবে।’
এদিকে অফিস পোড়ানোর স্থানে সরেজমিনে গেলে উঠে আসে আসল চিত্র। সেখানে স্থানীয়রা বলছেন, নৌকা প্রতীকের কর্মী সমর্থকরাই আগুন লাগিয়ে বিরোধী পক্ষকে দমনের চেষ্টা করছেন।
অপরদিকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী জগ প্রতীকের আক্কাস আলী বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, নির্বাচনি এলাকায় কেউ ৫টির বেশি প্রচার প্রচারণার অফিস করতে পারবেন না। অথচ নৌকা প্রতীকের অফিস আছে ৩০টির উপরে। এটি নির্বাচনি প্রচার বিধি লঙ্ঘনের শামিল। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে লিখিত অভিযোগ দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করা হয়েছে।
পৌরসভার নির্বাচনি পরিবেশ ও পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে চাইলে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, নির্বাচনি এলাকার পরিবেশ পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক আছে। প্রতিনিয়তই পুলিশ মাঠ পর্যবেক্ষণ করছে। সরকারদলীয় নৌকা প্রার্থীর অভিযোগের পাশাপাশি একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীর দুটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তা তদন্ত করা হচ্ছে, তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নির্বাচনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মুজিবুল আলম বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘জেলা নির্বাচন অফিসার বরাবর দেওয়া অভিযোগের বিষয়ে অবগত হয়েছি। কেউ যেনো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে, সেজন্য নির্বাচনি এলাকায় কঠোর নজরদারি রয়েছে। নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সমাপ্ত করতে সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কেউ দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করতে চাইলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল হোসেন বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, এখন পর্যন্ত পৌরসভা এলাকার পরিবেশ-পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা চলছে। মাঠে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে। সুষ্ঠু-সুন্দর-নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে আমরা বদ্ধপরিকর।
নির্বাচনে মেয়র পদে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন পৌর বিএনপির সভাপতি (বহিষ্কৃত) কম্পিউটার প্রতীকে কামাল হোসেন, পৌর জামায়াতের আমির নারিকেল গাছ প্রতীকে সাইফুল ইসলাম এবং মোবাইল প্রতীক নিয়ে ইসরাফিল হোসেন।
পৌরসভায় মোট ভোটার রয়েছেন ৩১ হাজার ৬৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ হাজার ৮১২ জন এবং মহিলা ভোটার ১৫ হাজার ৮৫৭ জন।