স্বাধীনতা নারীর জন্মগত অধিকার : সুলতানা কামাল

স্বাধীনতা নারীর জন্মগত অধিকার : সুলতানা কামাল

সুলতানা কামাল, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা, মানবাধিকারকর্মী ও মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের (এমএসএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। সম্প্রতি একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বাংলাদেশে নারীর অবস্থান ও নারী অধিকারের সম্ভাবনা ও সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে বিস্তারিত কথা বলেছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শাহেরীন আরাফাত।

মুক্তিযুদ্ধের ৫৩ বছর পর নারীর অগ্রসরতার পথ কতটা প্রশস্ত হয়েছে বলে মনে করেন? 

উত্তর : সামগ্রিকভাবে নারীর অগ্রসরতার ক্ষেত্রে নিঃসন্দেহে অনেক দূর এগিয়েছি আমরা। পথও চওড়া হয়েছে। অনেকাংশে সুগমও হয়েছে। তবে যে বিষয়টা আমরা বারবার তুলে আনতে চাই, যে বিষয়টা নিয়ে এখনও আমাদের মধ্যে অনেক কষ্ট, সংশয় রয়ে গেছে তা হলো– পথটা চওড়া হলেও মসৃণ নয়। এখনও কোনো নারীকে এগোতে গেলে অনেক বাধা-বিঘ্ন পেরোতে হয়। অনেক হোঁচট খেতে হয়। অনেক জায়গায় ক্ষত-বিক্ষত হতে হয়। সে বিষয়গুলো বিবেচনায় নিলে বলতে হবে– অগ্রসরমানতার যে ধারা, সেটি অনেকখানি এগোতে পারলেও পথটা সুগম করার জন্য আমাদের সহযোগী শক্তিগুলোকে সেভাবে পাশে পাইনি।

নারীরা এখন অনেক সচেতন। এর ফলে নারীর ওপর নিগ্রহ বেড়েছে। আগে নারী সাত চড়ে রা করেনি। এখন সে রা করতে শিখেছে। এটা অনেকের সহ্য হচ্ছে না। যাদের পছন্দ হচ্ছে না, তারা নানাভাবে নারীর মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করছে। এখানে একটা বিরাট দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়েছে। এর পরিবর্তন সাধনে আগে রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিগুলো নারীর পাশে দাঁড়াত। এখন সেটা কমে এসেছে। আমার দৃষ্টিতে আমরা এমন একটা অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছি– যেখানে নারী এগিয়েছে, কিন্তু চলার পথ ষাট দশকের চেয়েও অমসৃণ হয়েছে।

আমি বিষয়টিকে এভাবে দেখি– ধরুন, আমার লক্ষ্য আমি শহীদ মিনারে পৌঁছাব। সে পথে যেতে অনেক বাধা আছে। কাজেই অনেকে আমার পাশ থেকে সরে যাচ্ছেন। যারা সহযোগী ছিলেন, তারাও বলছেন– যাওয়া যাবে না। থেমে থাকতে হবে। বারবার একটা কথা বলা হয়– আমাদের কৌশলী হতে হবে। কৌশলী হওয়া আর আপসকামী হওয়া তো এক বিষয় না। আমরা কৌশলী হতে গিয়ে আপসকামিতার দিকে চলে যাচ্ছি। তার ফলে একটা সময় দেখা গেল, শহীদ মিনারের বদলে আমি মোহাম্মদপুরে গিয়ে বসে আছি। এ থেকে যদি উত্তরণ ঘটাতে হয়, তাহলে মূলধারার রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক– সব আন্দোলনের সঙ্গে নারী আন্দোলনের সংযুক্তি থাকতে হবে। নারী আন্দোলনকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যে প্রণোদনা ছিল, যে উৎসাহ ছিল, অঙ্গীকার ছিল, তা এখন অনেক পেছনে চলে গেছে। কোনো না কোনোভাবে দেখতে পাই, সামাজিক-সাংস্কৃতিকভাবে নারীকে আবারও পেছনে টানা হচ্ছে। নারীর ওপর বিরাট একটা চাপ তৈরি করা হয়েছে।

সমাজে অগ্রসর হওয়ার পথে নারীর প্রতিবন্ধকতাগুলো কী কী?

উত্তর : নারীর প্রতিবন্ধকতাগুলোর মধ্যে প্রথম বিষয়টি হলো সাংস্কৃতিক। পরিবার কেন নারীকে আটকে রাখত? ধর্মীয়, সামাজিক-সাংস্কৃতিক কতগুলো রীতি-নীতি, ধারণার ওপর ভিত্তি করে অনেক আইনও তৈরি করা হয়েছিল। নারীর ব্যক্তিগত জীবনের আইনগুলোর দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে– সবখানেই নারীর বিরুদ্ধে বৈষম্য আছে। কারণ যেসব ধারণার ওপর ভিত্তি করে আইন তৈরি করা হয়েছিল তা হলো, নারী সারাজীবন পুরুষের ওপর নির্ভরশীল থাকবে। নারীকে পুরুষের নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, পুরুষ তাকে রক্ষা করবে; পুরুষ তার ওপর সন্তুষ্ট হলে কী করবে; অসন্তুষ্ট হবে কী করবে– এসবের ওপর নির্ভর করেই আইন তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ব্যক্তিক আইন, যা সব ধর্মের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

আমাদের সংবিধানে বলা আছে– এই সংবিধান বলবৎ হওয়া মাত্র কারও প্রতি, কোনো রকম বৈষম্যমূলক যে আইন আছে, তা বাতিল বলে গণ্য হবে। কিন্তু ব্যক্তিক আইন বাতিল বলে গণ্য হয়নি। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের নাগরিকদের ব্যক্তিগত জীবন যে আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, তা নারীর প্রতি ভীষণভাবে বৈষম্যমূলক। কোনো কোনো ক্ষেত্রে হয়তো একটুখানি জানালা খুলে দেওয়া হয়েছে; কিন্তু দরজাটা সে রকমই বন্ধ করে রাখা। জানালা দিয়ে উঁকি দেওয়া যাবে কিন্তু বাইরে বের হওয়া যাবে না। এই আইনি ব্যবস্থায় সংবিধানকে উপেক্ষা করে অসাংবিধানিকভাবে আইনগুলো রাখা হয়েছে।

নারীকে পেছনে ফেলে রাখার বিষয়টি সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং একই সঙ্গে রাজনৈতিকও। রাজনৈতিক সুবিধাবাদের জন্য মানুষের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। কাকে অধিকার দিলে রাজনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাবে, কাকে অধিকার না দিলে সুবিধা পাওয়া যাবে– এর ওপর নির্ভর করে সংবিধানকে উপেক্ষা করে অসাংবিধানিকভাবে এ আইনগুলো রাখা হয়েছে।

আমাদের সমাজে যে পুরুষতান্ত্রিকতা বিদ্যমান, তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের রূপ কেমন?

উত্তর : এখানে একটা বিষয় বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। এ জন্য একটু ইতিহাসের দিকে তাকাতে হবে। রাজনৈতিক আন্দোলন বলতে যেমন একক ধারার কোনো আন্দোলন নেই, বিভিন্ন ধারার রাজনৈতিক আন্দোলন রয়েছে; তেমনি নারী আন্দোলন বলতেও একক কোনো আন্দোলন বোঝায় না। নারী আন্দোলনের ভেতরেও নানা ধারা রয়েছে। কিছু নারী আন্দোলন খুবই কট্টরপন্থি ছিল। তারা ভেবেছে পুরুষ মানেই শত্রু। তাদের সঙ্গে পথচলা যাবে না। আন্দোলনের মধ্যেও পুরুষকে নেওয়া যাবে না। তবে বাংলাদেশের নারী আন্দোলন প্রথম থেকেই একটা বিরাট বড় নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়েই চলেছে। বেগম রোকেয়া বা সুফিয়া কামাল এখানে নারী আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ। তবে তাদের মধ্যে পুরুষবিদ্বেষী অবস্থান দেখা যায়নি। বেগম রোকেয়া ‘সুলতানার স্বপ্ন’ গ্রন্থে যদিও নারীদের পৃথক আবাসভূমির কথা বলেছিলেন, তবে তাঁর স্বামী এটিকে বলেছিলেন– ‘আ সুইট রিভেঞ্জ।’ তাঁর উপন্যাস বা গদ্যে নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য মানবিক সমাজের কথা বলা হয়েছে। সুফিয়া কামালও তাঁর প্রতিটি বক্তব্যে দৃঢ়তার সঙ্গে সব নারীর অধিকারের কথা বলেছেন। কট্টর নারীবাদীদের পক্ষ থেকে তাঁকে ‘নারীবাদী’ বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে– তিনি নারীবাদে বিশ্বাস করেন না। অনেক সমালোচনা, মশকরা করা হয়েছে তাঁকে নিয়ে। তিনি বারবার বলেছেন– পুরুষকে সঙ্গে নিয়ে যদি এ আন্দোলন না করতে পারি, তাহলে সমাজটা আমরা বদলাতে পারব না। কারণ এখানে পুরুষের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। বেগম রোকেয়া বলেছিলেন, ‘ভগিনীগণ বুক ঠুকিয়া বল, আমরাও মানুষ।’ অত্যন্ত মৌলিক কথা। এর সঙ্গে সুফিয়া কামাল যুক্ত করেছিলেন– পুরুষকেও বলতে হবে যে, আমরাও মানুষ। আর মানুষে মানুষে বন্ধুত্ব, সৌহার্দ্য হতে পারে। সহযোগিতা, সহমর্মিতা ও সাম্যের বোধের মধ্য দিয়ে এই সংগ্রাম এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

আরেকটি বিষয় হলো, নারীবাদী আন্দোলনের বিভিন্ন ধারা আছে। সব ধারা পুরুষবিরোধী না। এখনকার বেশির ভাগ নারীবাদীই বিশ্বাস করেন, পুরুষকে সঙ্গে নিয়ে না এগোলে আন্দোলন সফল হবে না।

পারিবারিক নির্যাতন আটকানো যাচ্ছে না। কারণ কী? 

উত্তর : একটা বড় কারণ হলো, নারী এখন প্রতিবাদী হয়েছে। আগে যদি বলা হতো– অনুমতি ছাড়া বাড়ি থেকে বের হওয়া যাবে না, তখন প্রতিবাদ হতো না। এখন নারী প্রশ্ন করে– কেন আমি যাব না? আরেকটু প্রতিবাদী হলে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যায়। তখন যে এই নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে, তার অহমে আঘাত লাগে। সে পুরুষও হতে পারে, হতে পারে নারীও। এতে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হচ্ছে। এটা পারিবারিক সহিংসতার একটা কারণ। শিক্ষাদীক্ষার কারণে নারীরা এখন বাইরে যাচ্ছে। কিন্তু সামাজিক-সাংস্কৃতিকভাবে আমরা এখনও নারীর অধিকারের বিষয়টা সেভাবে মননে ধারণ করি না। কেউ কেউ বলতে পারেন, আমি আমার স্ত্রীকে বাইরে গেলে বাধা দিই না। কিন্তু তিনি যে বাধা দিতেই পারেন না, সেই চিন্তাটা তাঁর ভেতরে নেই। অনেকেই বলেন, তিনি কিন্তু খুব ভালো স্বামী, স্ত্রীকে কোনো কাজে বাধা দেন না– স্ত্রীকে অনেক স্বাধীনতা দিয়েছেন। কিন্তু স্বাধীনতা তো দেওয়ার বিষয় না। স্বাধীনতা জন্মগত অধিকার, পুরুষ ও নারী প্রত্যেকের। এটা আমাদের সংস্কৃতিতে, আমাদের চিন্তাধারায় সঞ্চারিত করতে পারিনি। এখন যে শিক্ষাব্যবস্থা, এখন যে সামাজিক সংস্কৃতি চলছে, ধর্মান্ধতা ও মৌলবাদের যে প্রবল আধিপত্য চলছে এবং তাকে রাজনৈতিকভাবে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। তার কারণে বিষয়টি আরও প্রকট আকার নিচ্ছে। ছোট ছোট মেয়েদেরও এখন বিশ্বাস করানো হয়– তাদের সীমিত স্বাধীনতা ভোগ করতে হবে। এটা তাদের পোশাক, কথাবার্তা, আচার-ব্যবহার সব ক্ষেত্রেই দৃশ্যমান। কিন্তু এরপরও নারী নির্যাতন কমছে না। যদিও ২০১০ সালে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে আইন হয়েছে, মানুষ এ আইন সম্পর্কে সেভাবে জানে না। জানলেও তা আমলে নেওয়া হচ্ছে না। কারণ পারিবারিক নির্যাতন যে একটা গুরুতর অপরাধ, সেই বোধটা আমাদের মধ্যে নেই। 

নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ অনেক অগ্রগতি করেছে। তবে ঝরে পড়ার হারও অনেক বেশি, যাদের অনেকের বাল্যবিয়ে হচ্ছে। বিষয়টা কীভাবে দেখছেন? 

উত্তর : নারীদের অধিকার রক্ষায় অনেক আইন হয়েছে। তবে শুধু আইন দিয়ে সমস্যার সমাধান সম্ভব হয় না। সেই সঙ্গে মানুষের মনমানসিকতা পরিবর্তনের চেষ্টা করতে হয়। শিক্ষা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে তা ব্যপকভাবে করতে হয় এবং অবশ্যই রাজনৈতিক সমর্থন থাকতে হয়। এ জন্য দৃঢ়ভাবে রাজনীতিকদের দাঁড়াতে হবে। আমাদের রাজনীতিকরা এ ক্ষেত্রে শক্ত অবস্থান নেন না। অনেক রাজনীতিক, যারা মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, অনেক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন, তারাও এর বিপরীতে অবস্থান নেন। নারী ইউএনও মুক্তিযোদ্ধার কফিনে পতাকা দিতে পারবেন না, ফুল দিতে পারবেন না– এসব কথা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকেই এসেছে। তার মানে, মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে থাকলেই যে সবাই নারীর সপক্ষের হবেন– এমনটা নয়। এ ক্ষেত্রে অনেক মৌলিক কাজ করার প্রয়োজন ছিল, যা আমরা করিনি। বাল্যবিয়ের বিষয়টাও এর সঙ্গে সম্পর্কিত।

আইন অমান্য করে বাল্যবিয়ে হচ্ছে। এক গ্রামে বাল্যবিয়ে আটকালে পাশের গ্রামে নিয়ে গিয়ে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কেন এমনটা হচ্ছে? এর পেছনে রয়েছে নারীর নিরাপত্তাহীনতা। সমাজে নারীর নিরাপত্তার বিষয়টা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। নারীকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে মনে করা, তাকে যে কোনো জায়গায় নির্যাতন করা যায়, অত্যাচার করা যায়, তার গায়ে হাত দেওয়া যায়– এ চিন্তাটা বদলানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে তেমন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হয় নি। এর ফলে নারী নিরাপত্তা নিয়ে মা-বাবার মনে একটা বিরাট শঙ্কা কাজ করে। তারা মনে করে, বিয়ে হয়ে গেলে মেয়েটা স্বামীর হেফাজতে চলে গেলে তাদের দায়টা হস্তান্তর হয়ে গেল। বিয়ে হয়ে গেলে সর্বক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা যে নিশ্চিত হবে না, সেটা মা-বাবাও জানেন; কিন্তু তারা এর মধ্য দিয়ে দায়মুক্তি চান। একটা সমাজ কতখানি নারীবিরোধী, নারীবিদ্বেষী বা নারীর প্রতি শত্রুভাবাপন্ন হলে মা-বাবা পর্যন্ত নিরাপত্তার দায়টুকু নিতে পারেন না! দেশান্তরের মতো নারীদের স্বামীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

নারীর যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে আদালতের নির্দেশনা আছে। আইন করার কথা বলা হয়েছে; কিন্তু ১৪ বছর পরও আইন হয়নি। অথচ তথ্যপ্রযুক্তি আইন থেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন; এরপর তা পরিবর্তিত হয়ে রাতারাতি সাইবার নিরাপত্তা আইন হয়ে যাচ্ছে। নিপীড়নমূলক আইনগুলো রাতারাতি পাস হয়ে যাচ্ছে; কিন্তু নারীর যৌন হয়রানি প্রতিরোধে এখনও কোনো আইন হয়নি। বৈষম্য বিলোপ আইনের প্রস্তাবও আজ পর্যন্ত সংসদে তোলা হলো না। এসবের জন্য দরকার নারীর প্রতি সহনশীল সামাজিক সংস্কৃতি। দরকার রাজনৈতিক সমর্থন ও দায়বদ্ধতা।