ডন প্রতিবেদন : সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করতে যে বাংলাদেশকে এতো চাপের মধ্য দিয়ে যেতে হবে, সেটি কে ভেবেছিলো! স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে হারের পর তো ‘গেলো’ ‘গেলো’ রবই উঠে গিয়েছিলো। প্রশ্ন উঠেছিলো সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহদের আত্মনিবেদন নিয়ে। পরের দুই ম্যাচে ওমান আর পাপুয়া নিউগিনিকে হারিয়ে সুপার টুয়েলভ নিশ্চিত করে বাংলাদেশ এখন সামনে তাকাতে চাচ্ছে।
আজই প্রথম পর্বের ভালো-মন্দ, আনন্দ-বেদনাকে সঙ্গী করে আরব আমিরাতে পা রেখেছে বাংলাদেশ দল। আমিরাতে বাংলাদেশের সঙ্গী যেমন পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে বিশাল জয় কিংবা শেষ ম্যাচে ব্যাটে-বলে সম্মিলিত পারফরম্যান্স, ঠিক তেমনি সঙ্গী হতে পারে সম্পূর্ণ অন্য একটা সুযোগও। কী সুযোগ? দিনের পুরো ম্যাচ খেলা! এটিকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে বাংলাদেশ দল।
সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশকে প্রতিটি ম্যাচই খেলতে হবে দিনের আলোতে। এটা কীভাবে ইতিবাচক হয়! যেখানে মাসকাটের গরমে পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ম্যাচে হাঁসফাঁস করতে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের! ইতিবাচক দিক আছে। সেটি আজ জানিয়েছেন দলেরসঙ্গে যাওয়া নির্বাচক কমিটির অন্যতম সদস্য, সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার।
‘গ্রুপের সব দলই ভালো। জিততে হলে প্রতিটি ম্যাচেই আমাদের ভালো খেলতে হবে। এ গ্রুপে পড়ায় যে সুবিধাটা হয়েছে, সেটি হচ্ছে সব ম্যাচই আমাদের দুপুরে পড়েছে। রাতে বল একটু কম স্পিন করে। দুপুরে ম্যাচ হওয়াতে এটা আমাদের জন্য ভালো হয়েছে’, বলেছেন হাবিবুল বাশার।
বাংলাদেশ সুপার টুয়েলভে গ্রুপ-‘১’ এ থাকছে। যেখানে গ্রুপে মাহমুদউল্লাহদের সঙ্গী শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
স্কটল্যান্ড আর ওমানের বিপক্ষে প্রথম পর্বের দুটি ম্যাচই ছিল রাতে, ফ্লাড লাইটের আলোতে। এ দুটি ম্যাচেই বাংলাদেশের স্পিনাররা ভুগেছেন গ্রিপ সমস্যায়। মাসকাটেই কেবল নয়, সংযুক্ত আরব আমিরাতেও রাতে শিশির পড়ে। যেহেতু বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ স্পিনের ওপর নির্ভরশীল, তাই শিশিরটা সেখানে বড় সমস্যাই। সে কারণে দিনের আলোতে পুরো ম্যাচই বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক।
গ্রুপে যেহেতু অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ আছে, আর এ দেশগুলো ঐতিহাসিকভাবেই স্পিন বোলিং আর শুষ্ক উইকেটে নিজেদের দুর্বলতা প্রকাশ করে ফেলে। তাই দিনে খেলা হলে বাংলাদেশ বাড়তি সুবিধাই পাবে বলে মনে করছেন হাবিবুল বাশার।
তা বাংলাদেশের গ্রুপটা কেমন হলো? এ নিয়ে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ কাল পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে ম্যাচের পর অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষ নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলে পাওয়ার হিটার প্রচুর থাকবে- এমন হুমকি থাকার পরও মাহমুদউল্লাহ ব্যাপারটি নিয়ে নির্লিপ্ত, ‘পরেরটা পরে দেখা যাবে।’ মাহমুদউল্লাহ অবশ্য ভালো খেলার কথাও বলেছেন, ‘যেখানেই খেলি ভালো খেলতে হবে, এটাই মূল কথা।’