যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা থেকে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে : পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইনমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যার সঙ্গে জড়িত পলাতক সেনা কর্মকর্তাদের দেশে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর দুই আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ও এ বি এম এইচ নূর চৌধুরীকে কানাডা থেকে ফেরানোর ব্যাপারে আলোচনা চলছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য ঠাণ্ডা মাথায় বঙ্গবন্ধুকে তাঁর নিজ বাসভবনে সপরিবারে হত্যা করে।
হত্যাকাণ্ডের পরে খুনিরা দেশ পরিচালনা করে এক সময় দেশ থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। তবে পরবর্তীতে তাদের কয়েকজনকে বিচারের আওতায় এনে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এখনও পাঁচজন বাকি আছে। তারা হলো : খন্দকার আব্দুর রশীদ, শরীফুল হক ডালিম, মোসলেম উদ্দিন, রাশেদ চৌধুরী ও এ বি এম এইচ নূর চৌধুরী।
পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের প্রধান চক্রান্তকারী মেজর শরীফুল হক ডালিমের অবস্থান এখনও জানা যায় নি। তবে আমরা জানি, কর্নেল রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আছেন। আর হত্যাকাণ্ডের আরেক চক্রান্তকারী নূর চৌধুরী রয়েছেন কানাডায়। খুনি রাশেদকে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।’
বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকাণ্ডের স্মরণে ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণা করে বাংলাদেশ।
আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা নিরলসভাবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা করেছি। দুই বছর আগে সেনাবাহিনীর সাবেক ক্যাপ্টেন ও বঙ্গবন্ধুর অন্যতম খুনি আবদুল মাজেদকে ফিরিয়ে এনে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে।’
এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে (আবুল কালাম) আব্দুল মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচ পলাতক খুনির অবস্থানের তথ্য দিতে পারলে সরকারের পক্ষ থেকে পুরস্কৃত করা হবে। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর দুই খুনির খবর আমরা জানি। একজন আমেরিকায় এবং আরেকজন কানাডায়। অন্যদের সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। যাঁরা এদের ব্যাপারে তথ্য দেবে, সরকার তাঁদের পুরস্কৃত করবে।’