সুরের লহরীতে জোয়ার আনছে সুরের রাণী তাপসী
রায়হান : কণ্ঠে সপ্তসুর ধারণ করে সঙ্গীতের রাজত্বে নিজের আগমন জানান দিচ্ছে তাপসী রানী দে। জাতীয় শিশু পুরস্কার-২০২৩ এ লোকসঙ্গীতে ৩য় স্থান, জাতীয় শিশু পুরস্কার-২০২১ ও ২০২২ এ লোকসঙ্গীতে বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২২ এ লোকসঙ্গীতে বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ার সংগঠন সমস্বর আয়োজিত বার্ষিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা-২০২৩ এ লোকসঙ্গীতে ২য় স্থান, বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে যুগ্মভাবে পরিচালিত সাংস্কৃতিক ফোরাম ‘গন্তব্য স্বপ্নের’ আয়োজিত প্রতিযোগিতায় টানা ছয়বার বিজয়ী, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের ফেসবুক ফোরামে প্রয়াত আরজু মনি স্মৃতি বিজড়িত গান পরিবেশন করে আলোড়ন তোলা, বাংলা নববর্ষ ও পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে আঞ্চলিক পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন, বাংলাদেশ বেতারের লোকসঙ্গীত শিল্পী হিসেবে তালিকাভুক্ত হওয়া প্রভৃতি অর্জনে সমৃদ্ধ তাপসী’র ভাণ্ডার। তাঁর সুরের মধুরতা ও ভরাট কণ্ঠের মাধুর্য দেখে তাঁর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও তাঁর অঞ্চলের সুধীসমাজ শ্রদ্ধা, স্নেহ ও ভালোবাসায় তাঁকে সুরের রাণী বলে আখ্যায়িত করে।
তাপসীর জন্ম ও শৈশব কেটেছে ভোলা জেলার বোরহানুদ্দিন উপজেলায়। তাপসীর বাবা প্রাণ কৃষ্ণ দে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত মুখ্য কর্মকর্তা এবং মা চুমকি রাণী দত্ত বরিশালের বাবুগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত। তিন বোনের পরিবারে তাপসী সবচেয়ে ছোট। তাপসীর লোকসঙ্গীতে পরিণত হওয়ার নেপথ্যে যাঁর অবদান সবচেয়ে বেশি, তিনি হলেন : বরিশাল বিভাগের কিংবদন্তী লোকসঙ্গীত শিল্পী ও প্রশিক্ষক শেখ জামাল নাসের। শহীদ আরজু মনি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে বর্তমানে তাপসী বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজে অধ্যয়নরত।
আমাদের সবার প্রার্থনা ভবিষ্যতে তাপসী রানী যেনো সঙ্গীতের মহাতারকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।