লিটন : ভোট শান্তিপূর্ণ হচ্ছে, বিএনপি নিজেদের যাচাই করতে পারতো

লিটন : ভোট শান্তিপূর্ণ হচ্ছে, বিএনপি নিজেদের যাচাই করতে পারতো

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ; রাজশাহী : রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। এই নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপি নিজেদের যাচাই করতে পারতো। এ মন্তব্য করেছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি বলেন, নির্বাচনে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। সারাদিন এমন শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে বলেই আশা করছি। বুধবার (২১ জুন) রাজশাহী স্যাটেলাইট টাউন হাইস্কুলে ভোট দেওয়ার পর এ কথা বলেন লিটন।

এ সময় বিএনপির অংশ না নেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি ভোটে এলে তাঁরা তাঁদেরকে যাচাই করতে পারতো। ভোটাররা কতোটা চায়, তা যাচাই করতে পারতো। যাঁরা উন্নয়নের পক্ষে আছে, এমন বিএনপি-জামায়াতের ভোটাররাও তাঁকে ভোটে দেবেন বলে আশা প্রকাশ করেন খায়রুজ্জামান লিটন।

সকাল ৯টা ১০ মিনিটে তিনি কেন্দ্রের ২ নম্বর বুথে ভোট দেন। ভোট দেওয়ার পর তিনি জানান, নির্বাচনে ৬০ শতাংশের মতো ভোট পড়বে বলে আশা করছি। এর আগে তিনি তাঁর স্ত্রী শাহীন আকতার রেণী, দুই কন্যা আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা ও মাইশা জামান শ্রেয়াকে সঙ্গে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসেন।

সকাল ৮টায় রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। একটানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে। সব কেন্দ্রে ইভিএমে ভোট নেওয়া হচ্ছে। সিসি ক্যামেরায় ঢাকায় বসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন সিইসিসহ নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা।

রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে এবার মেয়র পদে প্রার্থী চারজন। তাঁরা হলেন : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল), ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল)। বরিশাল সিটি নির্বাচনের পর ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী নির্বাচন বয়কট করেছে।

রাজশাহী সিটির ২৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১১ জন। একটি ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৪৬ জন প্রার্থী। একজন হিজড়া রয়েছেন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে। এখানে ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। পাশাপাশি হিজড়া ভোটার রয়েছেন ছয়জন। ভোটকেন্দ্রগুলোতে স্থাপন করা হয়েছে ১ হাজার ৫৬০টি ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। ভোট গ্রহণের দায়িত্বে আছেন ৩ হাজার ৬১৪ জন কর্মকর্তা।