অসি নারী দলের আতিথেয়তায় ত্রুটি রাখছে না বিসিবি
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : অস্ট্রেলিয়া নারী ক্রিকেট দল আগেও বাংলাদেশে খেলতে এসেছে। ২১ মার্চ থেকে মিরপুরে প্রথম ওয়ানডে খেলতে নামবে তাঁরা। এর আগে ২০১৪ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ খেলেছে মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। ঢাকা থেকে বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে দেশে ফিরেছিলেন এলিসা পেরিরা।
১০ বছর আগে আইসিসির টুর্নামেন্ট খেলে যাওয়া অসি নারী দল এবার ঢাকায় এসেছে ওয়ানডে ও টি-২০ সিরিজ খেলতে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা। এই টুর্নামেন্টের পয়েন্টের ওপর ভিত্তি করেই ২০২৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে সেরা পাঁচ দল। এই রেসে শীর্ষে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সাতবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী অসি নারী দলকে পুরুষ দলের সমান সুযোগ-সুবিধা দিতে হচ্ছে বিসিবিকে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) নারী দলের জন্য আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত হওয়ার পরই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে বলে জানান বিসিবির একজন কর্মকর্তা।
ভারত, ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল বিদেশ সফরে আন্তর্জাতিক সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে। তবে এই দলগুলোর মধ্যেও চাহিদার তারতম্য রয়েছে। অসিদের চাওয়া থাকে একটু বেশি। পাঁচতারকা হোটেলে রাখলেই হবে না, তাঁদের খাদ্য তালিকায় থাকতে হবে অ্যাভোকাডো ফল। অসি নারী ক্রিকেট দলের জন্য এ ফলও জোগান দিচ্ছে বিসিবি। তাঁদের দেখভালের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে বিসিবি'র হেড অব প্রোগ্রাম ডেভিড মুরকে।
সফরকারী দলের অনুশীলনে মুর নিজে উপস্থিত থেকে সবকিছু দেখভাল করছিলেন। মিরপুরে তিন ম্যাচ ওয়ানডে এবং তিন ম্যাচ টি-২০ সিরিজ খেলতে আসা অস্ট্রেলিয়া দল প্রথম অনুশীলন করে শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে। যদিও পুরো দল একসঙ্গে পায় নি প্রথম সেশনে। নারী আইপিএলে খেলার কারণে ভাগে ভাগে ঢাকায় এসেছেন ক্রিকেটাররা। পাসপোর্ট জটিলতায় এলিসার আসতে একটু দেরি হচ্ছে বলে জানান বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার রাবীদ ইমাম।
এদিকে বাংলাদেশ নারী দলের কিট স্পন্সর হয়েছে কোকা-কোলা বেভারেজ। বিসিবির সঙ্গে তিন বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে তাঁরা।