ইরানের জালে ছয় গোল দিলো ইংল্যান্ড
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : কাতারের গরম নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলো ইংল্যান্ড। মরুর বুকে পা দিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছিলো হ্যারি কেইনদের। স্টেডিয়াম শীততাপ নিয়ন্ত্রিত হলেও আবর প্রতিবেশি ইরানের বিপক্ষে স্থানীয় সময় বিকাল চারটার ম্যাচ নিয়ে একটু ভয়েই ছিলো তাঁরা। সব শঙ্কা উড়িয়ে শক্তি দেখালো ইংল্যান্ড। নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইরানকে উড়িয়ে দিলো ৬-২ গোলে।
কঠিন পরীক্ষার ম্যাচে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইরান। ইনজুরি নিয়ে ১৯ মিনিটে মাঠ ছাড়েন দলটির শুরুর একাদশে থাকা গোলরক্ষক বেইরানভ্যান্ড। তাঁর জায়গায় হোসাইন হোসেইনি মাঠে নামেন। ৩৫ মিনিটে ১৯ বছরের ইংলিশ মিডফিল্ডার জুডে বেলিংহ্যাম ইরানের গোলের মুখ খোলেন। লুক শ’র ক্রস থেকে হেড দিয়ে গোল করেন তিনি। ওই গোল উৎসব চলেছে ম্যাচের শেষ পর্যন্ত।
দলকে ২-০ গোলের লিড এনে দেন ২১ বছর বয়সী বুকোয়াকা সাকা। হ্যারি মাগুইরের দেওয়া বল বক্স থেকে বাঁ-পায়ের ভলিতে জালে পাঠান তিনি। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দলের তৃতীয় ও নিজের প্রথম গোলটি করেন রাহিম র্স্টালিং। হ্যারি কেইন তাঁর গোলের কারিগর।
দ্বিতীয়ার্ধের ৬২ মিনিটে র্স্টালিংয়ের পাস ধরে দলকে ৪-০ গোলে এগিয়ে নেন সাকা। তিন মিনিট পরে ইরান স্বস্তির গোল পায়। বেনফিকায় খেলা ইরানের সেরা তারকা মাহদি তারেমি গোল করেন। ওই স্বস্তি ৭১ মিনিটে বদলি নেমেই কেড়ে নেন মার্কোস রাশফোর্ড। সাকার বদলি নেমে গোল করেন তরুণ ম্যানইউ ফরোয়ার্ড।
দলের ষষ্ঠ গোলটি করেছেন জ্যাক গ্রেলিস। দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠেন কেইনের বদলি নামা উইলসন। দৌঁড়ে বক্সের ঠিক মুখে চলে আসা গ্রেলিসের বল জালে জড়াতে বেগ পেতে হয় নি। ম্যাচের শেষ বাঁশির আগ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে আরও একটি গোল শোধ করার সুযোগ পায় ইরান। যে সুযোগ নিতে ভুল করেন নি তারেমি।