এক দেশপ্রেমিক’র কথা

এক দেশপ্রেমিক’র কথা

উপ-সম্পাদকীয় মত, বাঙলার কাগজ : দেবেশ চন্দ্র সান্যাল একজন দেশপ্রেমিক। তাঁর বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলা ও পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ঘোষ গাঁথী মহল্লায়। তিনি জ্ঞান হওয়ার পর থেকে রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যাণের জন্য সাধ্যানুসারে দেশ ও মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালীন বাংলাদেশের ক্রান্তিকালে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি ছিলো বিশ্বের মধ্যে একটি পৃথক বৈশিষ্ট্যের নির্বাচন। ওই নির্বাচনের তারিখটি ছিলো ৭ জানুয়ারি (রবিবার)। নির্বাচনটি ঠেকানোর জন্য বিরোধীদল বিএনপি ও অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক দল নির্বাচনের পূর্বদিন সকাল ৬টা থেকে নির্বাচনের পরেরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টার হরতাল আহ্বান করেছিলো। নির্বাচন ঠেকানোর কৌশল হিসেবে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছিলো। এর আগে থেকেই বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্বাচন বর্জন এবং মানুষকে ভোট থেকে বিরত রাখার জন্য হরতাল, অবরোধ ডাকে। এ সময় তারা গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিতরণ এবং বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে। নির্বাচনের মাত্র দুইদিন পূর্বে যাত্রীবাহী ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটানা হয়। মুহূর্তের মধ্যে ৪টি বগিতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ৪ জন মানুষের পোড়া দেহ পাওয়া যায়। ভাবনায় আসে না, কোনও মানুষ কি যাত্রীবাহী বাস-ট্রেনে আগুন  দিতে পারে? নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে নাশকতাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি। আমি কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্য নই। দেবেশ চন্দ্র সান্যালও নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে।

তিনি ২৮ ডিসেম্বর বাঙলার কাগজ অনলাইন পত্রিকার মাধ্যমে জাতির প্রতি আবেদন জানিয়ে বলেছিলেন, ‘ভোটদান একটি জাতীয় দায়িত্ব। যথাসময়ে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হওয়া আপনার কর্তব্য। যথাসময়ে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হোন। আপনার ভোট আপনি দিন, যাঁকে ইচ্ছা তাঁকে দিন।’

তিনি ভোটদানে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য ভোটগ্রহণ কাজে কর্মরত প্রিজাইডিং অফিসারসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। যা গত ২২ ডিসেম্বর বাঙলার কাগজে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি বলেছেন, তিনি যে কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন, সেখানে কোনও প্রকার অনিয়ম হয় নি।

লেখক : বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবেশ চন্দ্র সান্যালের প্রতিবেশি