ওবায়দুল কাদের : শেখ হাসিনাকে নিয়ে কিছু বললে আমরা বসে থাকবো না।
বাসস : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনাকে নিয়ে ‘পঁচাত্তরের হাতিয়ার, গর্জে উঠুক আরেকবার’ বললে আমরা বসে থাকবো না। ছাত্রলীগ বসে থাকবে না। আবার কেউ যদি রাজপথে আন্দোলনের নামে অরাজকতা সৃষ্টির চেষ্টা করে, তার কঠোর জবাব দেওয়া হবে। কারণ আমরা রাজপথ কারও কাছে লিজ দিই নি। আওয়ামী লীগের জন্ম রাজপথ থেকে, আমরা এখনও রাজপথ ছাড়ি নি।
ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার (৩১ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের যৌথ সভার শুরুতে দেওয়া বক্তব্যে এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ছাত্রদলকে মাঠে নামানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ দেখবে কতো ধানে কতো চাল। সবকিছুর শেষ আছে। মির্জা ফখরুল, আগুন নিয়ে খেলবেন না। আগুন নিয়ে খেললে পরিণাম ভালো হবে না।’
আন্দোলনের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ বলেন, আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাসের জবাব রাজপথে দেওয়া হবে। সব ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করতে আওয়ামী লীগ রাজপথে আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ২৫ জুন পদ্মাসেতুর উদ্বোধনে ইউনিয়ন পর্যন্ত উৎসব হবে। বিএনপি ছাত্রদলকে দিয়ে রাজপথে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে, রাজপথ কাউকে ইজারা দেওয়া হয় নি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এর উপযুক্ত জবাব দেবে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দেওয়া হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, পদ্মাসেতু উদ্বোধনের তারিখ ঘোষণা করায় বিএনপির বুকে বিষজ্বালা উপচে পড়ছে। তবুও পদ্মা সেতুর অনুষ্ঠানে তাদের দাওয়াত দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু মানেই শেখ হাসিনা। তাঁর সাহসের প্রতীক পদ্মা সেতু। শত মিথ্যাচারের পরও পদ্মাসেতু নিয়ে তিনি ছিলেন হিমালয়ের মতো অটল। এটি নিয়ে এখনও বিএনপি অবিরাম মিথ্যাচার করছে।
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল-ছাত্রলীগের সংঘর্ষের প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ছাত্রদলকে ব্যবহার করে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে- কিন্তু সবকিছুর শেষ আছে। বেশি বাড়াবাড়ি ভালো না।
আগামী জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলে লাভ হবে না, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এখন জাদুঘরে। আগামী নির্বাচন হবে, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে। সরকার তাদের সহযোগিতা করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যদি বিএনপি নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মাঠ থেকে সরে যায়, তাহলে যথাসময়েই নির্বাচন হবে। কারও জন্য অপেক্ষা করা হবে না। আওয়ামী লীগ রাজপথে ছিলো, থাকবে। আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস করলে, রাজপথে জবাব দেবে আওয়ামী লীগ।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কর্নেল (অবসর) ফারুক খান, ড. আব্দুর রাজ্জাক ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আফজাল হোসেন ও মির্জা আজম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুর সবুরসহ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র, সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা উপস্থিত ছিলেন।