কিউবায় বৈধতা পেলো সমলিঙ্গের বিয়ে ও দত্তক নেওয়ার অধিকার

কিউবায় বৈধতা পেলো সমলিঙ্গের বিয়ে ও দত্তক নেওয়ার অধিকার

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : কমিউনিস্ট শাসিত দেশ কিউবায় সমলিঙ্গদের বিয়ে এবং সন্তান দত্তক নেওয়ার অধিকার বৈধতা পেয়েছে। এ-বিষয়ক গণভোটে কিউবানরা বিদ্যমান আইন সংস্কারের পক্ষে রায় দিয়েছেন।

এ ঘটনাকে কিউবার এলজিবিটিকিউ জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দেশটির দীর্ঘদিনের নেতিবাচক মনোভাবের বিস্ময়কর পরিবর্তন হিসেবে দেখছেন পর্যবেক্ষকেরা।

চার দশকের পুরোনো একটি ‘পারিবারিক আইনে’ বড় সংস্কার আনার পক্ষে ২৫ সেপ্টেম্বর ভোট দেয় কিউবার মানুষ। এই সংস্কারের ফলে দেশটির বয়স্ক মানুষ, নারী ও শিশুদের জন্য বাড়তি সুরক্ষার পাশাপাশি এলজিবিটিকিউ জনগোষ্ঠীর বেশ কিছু অধিকার নিশ্চিত হবে।

কমিউনিস্ট শাসিত কিউবায় কোনও আইন নিয়ে গণভোট আয়োজনের উদাহরণ খুব বেশি নেই। বিরল সে ধরনেরই এক গণভোটে তিন-চতুর্থাংশ নাগরিক আইন পরিবর্তনের পক্ষে মত দিয়েছেন।

ছয় দশক আগেও কিউবায় সমপ্রেমী বিয়ে এবং সন্তান দত্তকের ভাতা পাওয়ার ঘটনা ছিলো কষ্টকল্পনা।

ফিদেল কাস্ত্রো সরকারের বিরুদ্ধে ১৯৫৯ সালে বিপ্লবের পর সমপ্রেমী জনগোষ্ঠীর ওপর ব্যাপক নিপীড়ন চালানোর অভিযোগ ওঠে। গ্রেপ্তার করা হয় অনেককে। কাস্ত্রো পরে অবশ্য ওই নিপীড়নের জন্য ক্ষমা চান। বিপ্লবের ২০ বছর পর ১৯৭৯ সালে কিউবায় সমপ্রেম বৈধতা পায়, তবে বিয়ে করার অধিকার দেওয়া হয় নি।

গত এক দশকে দেশটির এলজিবিটিকিউ জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে সবচেয়ে সোচ্চার ছিলেন কাস্ত্রো পরিবারেরই এক সদস্য। সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং ফিদেল কাস্ত্রোর ভাই রাউল কাস্ত্রোর মেয়ে মারিলা কাস্ত্রো দীর্ঘদিন ধরে এই অধিকার নিয়ে কাজ করছেন।

ধর্মীয় গোষ্ঠীসহ আরও অনেকের বিরোধিতার মুখে ২০১৮ সালে সমপ্রেমী বিয়েকে বৈধতা দেওয়ার পরিকল্পনা থেকে সরে আসে সরকার।

তবে এর চার বছরে বদলেছে জনমত। কিউবার বেশিরভাগ নাগরিক রায় দিয়েছেন আইন সংস্কারের পক্ষে।