কলকাতায় তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশের বিজয় উৎসব

কলকাতায় তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশের বিজয় উৎসব

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : কলকাতায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী বাংলাদেশের বিজয় উৎসব উদ্‌যাপনের আনুষ্ঠানিকতা। শহরের বঙ্গবন্ধু সরণির বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে উৎসবের প্রথমদিনে ছিলো নানা আয়োজন। বাংলাদেশের অতিথি ছাড়াও ছিলেন কলকাতার বিশিষ্টজনরা। বিজয় উৎসবের তিন দিনের আয়োজন শেষ হবে ১৭ ডিসেম্বর।

কলকাতার বঙ্গবন্ধু সরণির বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন ভবনে বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) শুরু হওয়া বিজয় উৎসবের প্রথমদিনে ছিলো নানা আয়োজনে ঠাসা। আলোচনা অনুষ্ঠান, গান, আবৃত্তি এবং নৃত্য পরিবেশন ছাড়াও বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদ্‌যাপনের আয়োজনের মধ্যে নজর কাড়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি তুলে ধরতে অস্থায়ীভাবে নির্মিত চিত্র প্রদর্শনী কেন্দ্রের দিকে। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতরাও মঞ্চে প্রবেশ করার সময় অনেকেই ঢুঁ-মেরেছেন স্মৃতিবিজড়িত হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালির ছবি সংগ্রহশালায়।

অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। এরপর একে একে অনুষ্ঠানের অন্য আয়োজনও পরিবেশিত হতে থাকে।

কলকাতায় নিযুক্ত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, ‘বাংলাদেশের অভ্যুদয় কীভাবে হয়েছিলো, সেখানে ভারতের কী অবদান ছিলো, সেটি জানা বাংলাদেশ ও ভারতের প্রত্যেক নাগরিকের জন্য জরুরি। যখন প্রত্যেকের কাছে সত্যটি পরিষ্কার হবে, তখন আমাদের বন্ধুত্ব অনেক শক্তিশালী হবে বলে মনে করি।’

সিনিয়র সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য বলেন, ‘প্রায় ৭১-এর মতো আবহ বিরাজ করছে। যখন পৃথিবী আবার দ্বিধাবিভক্ত। একদিকে যুক্তরাষ্ট্র আর একদিকে রাশিয়া এবং সে সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুজনই একটি বিষয়ে জোর দিয়েছেন, তাঁরা কোনও পক্ষে যোগ দেন নি। তাঁরা দুই পক্ষের সঙ্গেই সমান সম্পর্ক বজায় রেখেছেন এবং শান্তি ফেরাতে আবেদন করেছেন।’

আয়োজনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে এনআরবি ওয়ার্ল্ড ফ্রেন্ডশিপ ফোরাম এবং বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ থেকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর আমন্ত্রণে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের একটি প্রতিনিধি দল বিজয় উৎসবের এ আয়োজনে শামিল হচ্ছে। একইসঙ্গে গোটা বিশ্বের কাছে বঙ্গবন্ধু কতোটা প্রাসঙ্গিক সে বিষয়ে রয়েছে একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সেমিনার।