ঘূর্ণিঝড় এগোচ্ছে বরিশাল-চট্টগ্রামের দিকে : আশঙ্কা জলোচ্ছ্বাসে বেশি ক্ষয়ক্ষতির

ঘূর্ণিঝড় এগোচ্ছে বরিশাল-চট্টগ্রামের দিকে : আশঙ্কা জলোচ্ছ্বাসে বেশি ক্ষয়ক্ষতির

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশ উপকূলের দিকে দ্রুত এগোচ্ছে। পটুয়াখালীর খেপুপাড়া দিয়ে ঝড়টি বরিশাল ও চট্টগ্রামে আঘাত করতে পারে। তবে দেশের উপকূলের ১৩টি জেলা এবং বঙ্গোপসাগরের দ্বীপ ও নদীর চরগুলোয় উঁচু জলোচ্ছ্বাস ও ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগে পাহাড়ধসের আশঙ্কা আছে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। 

এ ছাড়া খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরিশাল, ঝালকাঠি, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলা এবং ওই এলাকার দ্বীপ ও চরগুলোকেও ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আর চট্টগ্রাম বন্দর ও কক্সবাজার উপকূল এবং সেখানকার চর ও দ্বীপগুলোকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশীদ বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, ঘূর্ণিঝড়টি দ্রুত বাংলাদেশের বরিশাল ও চট্টগ্রাম উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। এখন পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ দেখে মনে হচ্ছে, এটি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত করতে পারে। অর্থাৎ, বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৮৯ থেকে ১১০ কিলোমিটার হতে পারে। তবে এই ঝড়ে বাতাসের গতির চেয়ে জলোচ্ছ্বাসের কারণে ক্ষয়ক্ষতি বেশি হতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের সময় অমাবস্যা থাকায় জোয়ারের উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে পাঁচ থেকে আট ফুট পর্যন্ত উঁচুতে উঠতে পারে। এ কারণে দেশের উপকূলের বেশিরভাগ এলাকা ওই জোয়ারে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। এর সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত যুক্ত হওয়ায় দেশের উপকূলের সবকটি জেলায় স্বল্পস্থায়ী বন্যা হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় দেশের উপকূলের ১৫টি জেলার নদীবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ নয় নম্বর বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি পায়রা বন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। 

এ ছাড়া মোংলা বন্দর থেকে ৩৬৫ ও চট্টগ্রাম থেকে ৪৪০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিলো। ঘূর্ণিঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত ওঠানামা করছিলো।