চট্টগ্রামের হোটেল-রেস্তোরাঁয় রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের বিষয়ে নির্দেশনা।

বাসস : চট্টগ্রামের হোটেল ও রেস্তোরাঁয় যাতে রাষ্ট্রবিরোধী কোনও কর্মকাণ্ড না হয়, সেদিকে সজাগ থাকা এবং আগামী ৩০ জুনের মধ্যে সকলকে নিবন্ধনের আওতায় আসতে আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতাদের নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ হোটেল ও রেস্তোরাঁ, ২০১৬ বিধি অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন করা হয়ে থাকে। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে, কিছু মালিক তা না মেনে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছেন। এতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২ জুন) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সমিতির নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করার পাশাপাশি এ নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক।

মমিনুর রহমান বলেন, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের হোটেল ও রেস্তোরাঁ সেল থেকে ছাড়পত্র ও নিবন্ধন ছাড়া হোটেল ব্যবসা পরিচালনাকারীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে চট্টগ্রামে নির্বন্ধনের বাইরেও অসংখ্য আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ পরিচালনা করা হচ্ছে। এভাবে অবৈধভাবে ব্যবসা পরিচালনা করায় সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। 

‘৩০ জুনের মধ্যে নিবন্ধন ছাড়া চলমান হোটেল ও রেস্তোরাঁকে নিবন্ধনের আওতায় আসতে হবে। না হলে এসব অবৈধ হোটেল ও রেস্তোরাঁর মালিকদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

‘ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাঁদের আইনের আওতায় আনা হবে।’

জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর হোটেল ব্যবসা অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। এখন হোটেল ও রেস্তোরাঁ ব্যবসায় গতিশীল করতে মালিক সমিতিকে কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে।

‘এ ছাড়া হোটেল ও রেস্তোরাঁকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা, কর্মচারীদের ডাটাবেজ তৈরি করা এবং আগামী ১৫ দিনের মধ্যে লাইসেন্সের তথ্য দেওয়ার নির্দেশনাও প্রদান করেন তিনি।’

পাশাপাশি হোটেল ও রেস্তোরাঁয় পলিথিন ব্যবহার না করা ও মানসম্মত খাবার পরিবেশন করার নির্দেশও দেন তিনি। সভায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ছাড়াও বিভিন্ন হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।