ছুরিকাহত শ্রমিকের মৃত্যুতে কাজ বন্ধ খাতুনগঞ্জে
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলার কাগজ ও ডন; চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে ‘পিকআপ চালকদের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে’ ছুরিকাহত শ্রমিকের মৃত্যুর পর ফের কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেছেন শ্রমিকরা।
কোতোয়ালি থানার ওসি জাহেদুল কবির বাঙলার কাগজ ও ডনকে জানান, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে মারা যান মো. মাসুদ নামের ওই শ্রমিক।
খাতুনগঞ্জ পাইকারি বাজারে পণ্য ওঠানামার কাজ করতেন মাসুদ। মালামাল নিয়ে আসা এক পিকআপ চালকের সঙ্গে বিতণ্ডার জেরে তাঁকে ছুরি মারা হয়েছিলো বলে শ্রমিকদের অভিযোগ।
তাঁর মৃত্যুর খবরে খাতুনগঞ্জ বাজারে সকাল থেকে কাজ বন্ধ রেখে পুনরায় বিক্ষোভ শুরু করেন শ্রমিকেরা।
বৃহত্তর খাতুনগঞ্জ মালামাল লোডিং-আনলোডিং শ্রমিক ইউনিয়নের অর্থ সম্পাদক আব্দুল কাদের বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘হামলাকারী গ্রেপ্তার হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের কাজ বন্ধ থাকবে।’
এ পরিস্থিতিতে দেশে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বড় এই পাইকারি বাজারের কার্যক্রম আগের দিনের মতোই স্থবির হয়ে পড়েছে। শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ রাখায় কোথাও পণ্য পাঠানো যাচ্ছে না। আবার খাতুনগঞ্জে আসা পণ্যগুলোও গাড়ি থেকে নামানো যাচ্ছে না।
কোতোয়ালি থানার ওসি বলেন, ‘শ্রমিকরা বাজারে মিছিল করছে। তবে কোনও ধরনের বিশৃঙ্খলা এখনও হয় নি।’
শ্রমিকেরা বলছেন, এক পিকআপ চালকের সঙ্গে সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালে কথা কাটাকাটি হয়েছিলো মাসুদের। এর জেরে সন্ধ্যায় ওই পিকআপ চালক দলবল নিয়ে তাঁর উপর আক্রমণ চালায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়।
সহকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার দিনভর কাজ বন্ধ রেখে প্রতিবাদ জানান শ্রমিকেরা। রাতে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর কাজে যোগ দেন তাঁরা। হামলাকারীকে ধরতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেওয়া হয় তখন।
হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন মাসুদের ছেলে। তিনজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে সেখানে আসামি করা হয়েছে।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ- কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা বাঙলার কাগজ ও ডনকে বলেছেন, হামলাকারীকে ধরতে তাঁদের অভিযান চলছে।