প্রধানমন্ত্রী : খেটেখাওয়া মেহনতি মানুষকে একটু উন্নত জীবন দিতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী : খেটেখাওয়া মেহনতি মানুষকে একটু উন্নত জীবন দিতে চাই।

বাসস : প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, খেটেখাওয়া, মেহনতি মানুষকে একটু উন্নত জীবন দিতে চাই। তিনি ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সম্মিলিত প্রচেষ্টার পাশাপাশি যথাযথ ও উদ্ভাবনী কর্ম পরিকল্পনা এবং কার্যকর পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ে এসডিজি বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। কিন্তু, আমি এখনো বিশ্বাস করি, সম্মিলিত প্রচেষ্টার পাশাপাশি যথাযথ উদ্ভাবনী কর্ম পরিকল্পনা ও কার্যকর পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে এই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো সম্ভব।’ শেখ হাসিনা আজ সোমবার (১৬ মে) সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জেনারেল ইকোনমিক ডিভিশন (জিইডি) আয়োজিত ‘এসডিজি বাস্তবায়ন পর্যালোচনা বিষয়ক তিনদিনব্যাপী দ্বিতীয় জাতীয় সম্মেলন-২০২২’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র ভাষণে এ কথা বলেন। সরকারপ্রধান বলেন,‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা সকলে মিলে একসঙ্গে কাজ করলে ২০৩০ এর আগেই নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে এবং ২০৪১ সালের পূর্বেই জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত এবং উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হবো।’ প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবং এসডিজি অর্জনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার এ লক্ষ্যে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা দেবে। তিনি বলেন, ‘আমরা এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য নীতি সহায়তা এবং তহবিল প্রদান অব্যাহত রাখবো, তবে আমাদের অবশ্যই তহবিলের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে এবং অপচয় রোধ করতে হবে। একই সময়ে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতি যথাযথভাবে পূরণ এবং তা যেনো বাস্তবায়িত হয়, তা নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া দরকার।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এসডিজিকে কেবল একটি বৈশ্বিক উন্নয়ন ধারণা হিসেবে গ্রহণ করে নি। “‘বৈশ্বিক এ লক্ষ্যমাত্রাকে দেশের বাস্তবতা বিবেচনায় নিজের উপযোগী করে প্রণয়ন করার কার্যক্রম শুরু করেছে, যা এসডিজি স্থানীয়করণ নামে পরিচিতি লাভ করেছে। এ কার্যক্রমের আওতায় ১৭টি অভীষ্ট হতে ৩৯টি সূচককে বাংলাদেশের জন্য ‘এসডিজি অগ্রাধিকার ক্ষেত্র’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রতিটি জেলার বাস্তবতা বিবেচনায় ১টি করে অতিরিক্ত সূচক নির্ধারণ করা হয়েছে।’” শেখ হাসিনা বলেন, আশা করা যায়, এই অগ্রাধিকার তালিকা অনুযায়ী জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় পর্যায়ের সকল সরকারি দপ্তরে দ্রুত ও সফলতার সঙ্গে এসডিজি পরিবীক্ষণ এবং বাস্তবায়ন সম্ভব হবে, এবং দেশের চলমান উন্নয়নের গতি ত্বরান্বিত হবে। ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনের পথে আমরা সাত বছর অতিক্রম করছি’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত দুই বছর কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে এসডিজি বাস্তবায়ন গতি কিছুটা মন্থর হয়েছে। তবে তাঁর সরকার সামর্থ্যের সর্বোচ্চ ব্যবহার করে লক্ষ্য অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে এবং কাজ করে যাবে। উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলায় সকলের অংশগ্রহণের ওপর পুনরায় গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, লক্ষ্য অর্জনে সবাই একসঙ্গে কাজ করলে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের আগেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জন করতে সক্ষম হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের পক্ষ হতে সময়োচিত প্রণোদনা প্যাকেজ প্রদান ও যথাযথ নীতি সহায়তা প্রদানের কারণে অর্থনীতি আবারও ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসছে। নির্দিষ্ট সময়ে এসডিজি’র পথ পরিক্রমা নিশ্চিত করা কঠিন, তবে আমি বিশ্বাস করি সঠিক ও উদ্ভাবনী কর্মপরিকল্পনা এবং কার্যকর পরিবীক্ষণ ব্যবস্থার মাধ্যমে লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। এ প্রেক্ষাপটে ‘এসডিজি ইমপ্লিমেন্টেশন রিভিউ কনফারেন্স ২০২২’ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বিশ্বের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করেই আমাদের এটা পর্যালোচনা করা দরকার। তিনি বলেন, কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা সব থেকে গুরুত্ব দেবো, সেটাও নির্দিষ্ট করা দরকার এবং যেগুলো আমরা ইতোমধ্যে অর্জন করেছি সেগুলোকে ধরে রাখা এবং আগামীতে আমরা কি কি বিষয় অর্জন করবো যেহেতু এখনকার প্রেক্ষিত যথেষ্ট পরিবর্তিত হয়েছে। বিশ্বব্যাপীই একটা অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিচ্ছে এবং খাদ্যাভাবও দেখা দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে তিনি দেশের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখার জন্য দেশবাসীর প্রতি তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন এবং আমাদের যে সম্পদ রয়েছে তা ব্যবহারের ক্ষেত্রে সকলকে সাশ্রয়ী হবার আহ্বান জানান। শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের পানি, বিদ্যুৎ, খাদ্যশস্য- প্রতিটি জিনিসের ব্যবহারেই সকলকে সাশ্রয়ী হতে হবে। কারণ, আমরা জানি কোভিড-১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সৃষ্ট মন্দার ধাক্কা সবখানেই দেখা দিচ্ছে। ফলে আমাদের দেশের মানুষের যাতে কষ্ট না হয়, সেজন্য দেশের প্রতিটি পরিবার এবং মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। তিনি এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্য নির্ধাণের ক্ষেত্রেও আশু করণীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদি করণীয় যথাযথভাবে নির্ধারণ করে তা বাস্তবায়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক (ভারপ্রাপ্ত) তুওমো পাউতিয়ানেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন। স্বাগত বক্তব্য দেন এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক জুয়েনা আজিজ। জিইডি’র সদস্য (সচিব) ড. মো. কাওসার আহমেদ বাংলাদেশের এসডিজি অগ্রগতি এবং এসডিজি অর্জনের পরিকল্পনা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত উপস্থাপনা করেন। অনুষ্ঠানে এসডিজি বিষয়ক একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। প্রধানমন্ত্রী এসডিজি বিষয়ক একটি প্রকাশনার মোড়কও উন্মোচন করেন। শেখ হাসিনা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) সফলভাবে বাস্তবায়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, এর ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে এসডিজি বাস্তবায়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করার এবং বাস্তবায়ন সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে সমর্থ হবে। ‘আমাদের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো, এনজিও এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রতিনিধিত্বকারী ব্যক্তিবর্গও সমানভাবে অংশীদার। এ সম্মেলনে সকলের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ অগ্রযাত্রাকে আরও বেগবান করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’ ‘বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে বেসরকারি খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে’ উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ইতোমধ্যেই বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের জন্য বিনিয়োগ পরিবেশ অধিকতর সহায়ক করা হয়েছে। আমরা ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। অবকাঠামো উন্নয়নে মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে বেসরকারি খাত আরও বেশি গতিশীল হবে। এ সম্মেলনে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ সম্মেলনের উদ্দেশ্য পূরণে কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসডিজি একটি বৈশ্বিক উন্নয়ন ধারণা হলেও বাংলাদেশের উন্নয়নের পথ পরিক্রমার সঙ্গে এটি ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। এসডিজি প্রণয়নের প্রক্রিয়ার শুরু থেকেই বাংলাদেশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলো। তিনি বলেন, আমাদের দেশের সংশ্লিষ্ট সকল অংশীজনের মতামত নিয়ে ২০১৩ সালে আমরা জাতিসংঘের নিকট মোট ১১টি অভীষ্টের প্রস্তাব করেছিলাম। এর মধ্যে ১০টি অভীষ্টই জাতিসংঘ হুবহু অনুসরণ করে, অবশিষ্ট অভীষ্টটিও অন্যান্য লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হয়। ফলে এসডিজি প্রণয়নকাল হতেই বাংলাদেশের বিভিন্ন নীতি-কৌশল এসডিজির আদলে প্রণয়ন করা সম্ভব হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী জানান, ভূখণ্ডের দিক থেকে আমরা ছোট হলেও আমাদের যে বৃহৎ জনগোষ্ঠী রয়েছে, তাঁদেরকে উন্নত জীবন দেওয়াই তাঁর সরকারের লক্ষ্য। তিনি বলেন, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের চেয়ার হিসেবে, বাংলাদেশ ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রোসপারিটি প্ল্যান’ এর খসড়া প্রণয়ন করেছে, যার রূপকল্প হলো জ্বালানি খাতে স্বনির্ভরতা অর্জন এবং বাংলাদেশের পরিকল্পিত অগ্রযাত্রাকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাওয়া। কার্বন পদচিহ্ন হ্রাস করার প্রতিশ্রুতিতে তাঁর সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ২০২২ সালের এপ্রিলের মধ্যে সারাদেশে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৩টি গৃহহীন পরিবারকে বাড়ি বানিয়ে দিয়েছি। ‘এ ছাড়াও, কক্সবাজারে ৬৪০ জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবারকে নতুন বাড়ি করে দিয়েছি। মোট ৪ হাজার ৪০৯টি জলবায়ু উদ্বাস্তু পরিবার নতুন বাড়ি পাবে। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় দুর্গত এলাকা এবং নতুন করে যাঁরা নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের শিকার হয়েছে, তাঁরা এর মধ্যে রয়েছেন।’ সরকারপ্রধান বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের গৃহীত উদ্যোগ ও কার্যক্রম বিশ্ব দরবারে সমাদৃত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, জাতিসংঘের সকল সদস্য দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম ৫ বছরে এসডিজি অর্জনে সবচেয়ে বেশি অগ্রগতি লাভ করেছে এবং ‘সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশন নেটওয়ার্ক’ বাংলাদেশকে ‘এসডিজি প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করেছে। সরকারের উন্নয়ন নিয়ে যারা সমালোচনা করেন, তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী রাজধানীতে বসে তাঁর সরকারের করে দেওয়া স্বাধীন গণমাধ্যমের সুযোগে ঢালাও সমালোচনা না করে দেশের তৃণমূল পর্যায় ঘুরে এসে স্বচক্ষে উন্নয়ন প্রত্যক্ষ করে তারপর বক্তব্য দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ঢাকায় বসে অনেকেই সমালোচনা করেন। তাঁদেরকে আমার অনুরোধ থাকবে, সারা বাংলাদেশটা আপনারা একটু ঘুরে দেখবেন। পরিবর্তনটা কোথায় এসেছে, কতটুকু এসেছে। সেটা বোধহয় সকলে গ্রাম পর্যায়ে একটু যোগাযোগ করলে জানতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই হয়তো এখন সমালোচনা করেন। এটা করা হচ্ছে কেন বা এত টাকা খরচ হয়েছে। খরচের দিকটা অনেকে শুধু দেখেন, কিন্তু এই খরচের মধ্য দিয়ে দেশের জনগণ যে কত লাভবান হবে এবং আমাদের অর্থনীতিতে কতটা অবদান রাখবে, আমাদের উন্নয়ন গতিশীল হবে, মানুষের জীবন পরিবর্তনশীল হবে সেটা বোধহয় তাঁরা বিবেচনা করেন না। এটা হচ্ছে, খুব দুঃখজনক। নদীমাতৃক বাংলাদেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন একান্তভাবে অপরিহার্য উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগ যতো দ্রুত বৃদ্ধি পাবে, মানুষের পণ্যের পরিবহন বৃদ্ধি পাবে। মানুষের যাতায়াত বৃদ্ধি পাবে, অর্থনীতি সচল হবে। একবারে তৃণমূল পর্যায়ে যে উৎপাদিত পণ্য তা বাজারজাত করা সহজ হবে এবং দারিদ্র বিমোচন করে আমাদের অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। কাজেই এসডিজিতে যে সমস্ত বিষয়গুলো রয়েছে, তারমধ্যে যে বিষয়গুলো আমাদের জন্য প্রণিধানযোগ্য, তা তাঁর সরকার বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে এবং করে যাবে বলেই উল্লেখ করেন তিনি। খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগ সরকারের লক্ষ্য জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষ তাঁদের ভাগ্য পরিবর্তন করে তাঁদের একটু উন্নত জীবন দেবো, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।