প্রধানমন্ত্রী : সরকার অর্থনৈতিক খাতকে স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বাসস : প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার অর্থনৈতিক খাতকে স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ করার জন্য প্রয়োজনীয় আইন-বিধিমালা প্রণয়ন, ঝুঁকি নিরূপণ, কৌশলপত্র প্রণয়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি শনিবার (১৮ জুন) বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট) প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে বলেন, “‘আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও দপ্তরের কার্যকর পদক্ষেপের কারণে বর্তমানে বাংলাদেশ মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ‘কমপ্লায়েন্ট কান্ট্রি’।’”
বাংলাদেশে মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) প্রতিষ্ঠার ২০ বছর পূর্তি উদ্যাপন করছে জেনে প্রধানমন্ত্রী আনন্দিত বলেও জানান।
প্রধানমন্ত্রী এই অর্জনে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট এবং বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা, সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাসহ সকল রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য সকলকে অভিবাদন জানান। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে মর্যাদাপূর্ণ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হওয়ার চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করেছে। ২০৪১ সাল নাগাদ ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা উন্নত দেশের কাতারে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। সকল আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশ প্রভূত উন্নয়ন সাধন করেছে। গত সাড়ে ১৩ বছরের আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা এবং জনগণের ঐকান্তিক পরিশ্রমের ফসল আজকের এই প্রাপ্তি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে তাঁর সরকার বদ্ধপরিকর। তিনি সকল বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে এ দেশকে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত এবং উন্নত-সমৃদ্ধ জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার প্রত্যয়ে উদ্দীপ্ত হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে অনুপার্জিত আয় ভোগ হতে রাষ্ট্রের জনগণকে বিরত রাখার বিধান রেখে যে আদর্শ প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, তারই ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগ সরকার দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি ঘোষণা করেছে। আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের আলোকে বাংলাদেশের মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে এবং কার্যক্রম পরিপালনের প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা দিয়ে আর্থিক খাতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘বিএফআইইউ’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। তিনি ‘বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট’ এর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।