শিশুকে শাসন নয় আদর করুন

শিশুকে শাসন নয় আদর করুন

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : সন্তান লালনপালন সহজ কোনও কাজ নয়। শিশুদের নতুন নতুন জিনিস শেখানোর সঙ্গে সঙ্গে মা বাবাকেও শিখতে হয় একাধিক জিনিস। যেমন চূড়ান্ত অপ্রীতিকর পরিস্থিতিতেও কী করে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে হয়, তা জানতে হয় বাবা-মাকে। সন্তান জেদ করলে, দুষ্টুমি করলে বেশিরভাগ বাবা-মাই মেজাজ হারিয়ে তাঁদের মারধর বা চিৎকার করেন। তাঁদের ধারণা, চিৎকার করে বললেই শিশু ভয় পাবে, দুষ্টুমি করবে না। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর বিপরীত ঘটনা ঘটে। বাচ্চা ওই সময়ের জন্য চুপ করলেও এমন আচরণ তাঁকে আরও জেদি করে তুলতে পারে। এ কারণে সন্তানকে শাসন করার ব্যাপারে কৌশলী হতে হবে।

মাথা হোক ঠাণ্ডা : মনে রাখবেন, চিৎকার করে কোনও সমস্যার সমাধান হবে না। উত্তেজনা চরমে থাকলে সবক্ষেত্রেই ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সন্তানের আচরণে মাথা গরম হলে তাঁকে বোঝানো বা শাসনের আগে নিজের মাথা ঠাণ্ডা করুন।

মনে রাখবেন, আপনার সন্তান একজন শিশু। তাই তাঁকে বোঝানোর জন্য আপনাকে ধৈর্য ধরতে হবে। এর জন্য শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন। মেজাজ নিয়ন্ত্রণে এলে তারপর শিশুর সঙ্গে কথা শুরু করুন।

ধীরে ধীরে কথা বলুন : শিশুরা জানে কতটা দুষ্টুমি করলে বাবা-মা চিৎকার করবে। কিন্তু আপনি যদি এর বিপরীতটা করেন, তাহলে সেও একেবারে চমকে যাবে। তখন তারও মনও নিমেষে ঠাণ্ডা হয়ে যাবে।

ফিসফিস করে কথা বলুন : উচ্চস্বরে কথা বললে শিশুর মনে বিরক্তি জাগতে পারে। এ কারণে চরম উত্তেজনার মুহূর্তে মাথা ঠাণ্ডা রেখে শিশুর সঙ্গে গলা নামিয়ে কথা বলুন। এতে ভালো কাজ হবে। কারণ বাবা-মায়ের এমন আচরণে শিশু দ্বিধাগ্রস্ত হবে। তাঁর মেজাজও ঠাণ্ডা হবে।

ভালোবাসা দিন : বড় হোক বা ছোট, সুন্দরভাবে কথা বললে সবাই মুগ্ধ হোন। এজন্য শিশুকে বোঝাতে মিষ্টি স্বর আর আদরের ভাষার বিকল্প নেই। উত্তেজক পরিস্থিতি শেষ করতে শিশুকে কাছে ডেকে আদর করুন। ভালোভাবে বুঝিয়ে বলুন। শিশুর কথাও শুনুন। তাহলে তাঁর মন শান্ত হবে।