ফখরুল-আব্বাসের আপাতত মুক্তি মিলছে না
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : রাজধানীর নয়াপল্টনে গত ৭ ডিসেম্বর পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় দলটির কারাবন্দী মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের আপাতত মুক্তি মিলছে না।
ফখরুল ও আব্বাসকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ৮ জানুয়ারি শুনানির জন্য তারিখ ঠিক করেছেন চেম্বার আদালত। এই সময় পর্যন্ত দুজনকে সংশ্লিষ্ট আদালতে জামিননামা দাখিল না করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) চেম্বার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন এই আদেশ দেন। এই আদেশের ফলে আপাতত ফখরুল ও আব্বাস কারামুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী।
মামলায় জামিন চেয়ে ফখরুল ও আব্বাস গত সোমবার হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। যার ওপর গতকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এদিন রুলসহ তাঁদের ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
হাইকোর্টের দেওয়া এই জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আজ আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
আজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।
বিএনপির দুই নেতার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সগীর হোসেন। বিএনপির নেতাদের পক্ষে আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন, মো. রুহুল কুদ্দুস, কায়সার কামাল প্রমুখ শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
একই মামলায় ফখরুল ও আব্বাসের জামিন আবেদন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তিনবার নাকচ হয়। সবশেষ ২১ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তাঁদের জামিন আবেদন নাকচ হয়। এ অবস্থায় সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় তাঁদের জামিন চেয়ে আবেদনটি করা হয়েছিলো।
ফখরুল ও আব্বাসের বাসায় ৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে পৃথক অভিযান চালায় ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে।
৯ ডিসেম্বর দুপুরে ডিবি আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, পুলিশের ওপর বর্বরোচিত হামলা, উসকানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তার পর থেকে ফখরুল ও আব্বাস কারাগারে।
৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে একজন নিহত হন, আহত হন অর্ধশতাধিক ব্যক্তি।
সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। এই ঘটনায় পল্টন, মতিঝিল, শাহজাহানপুর থানায় একটি করে ও রমনা থানায় দুটি মামলা হয়।