আজ আইপিএল ট্রফি কে জিতবে : কলকাতার স্পিনার না ধোনিদের অভিজ্ঞতা?
আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন : আজ (শুক্রবার : ১৫ অক্টোবর) দশমীর দিন আইপিএল ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং চেন্নাই সুপার কিংস। খাতায়-কলমে এবং এবারের আইপিএল-এর পারফরম্যান্সের নিরিখে দুই দলের মধ্যে তেমন কোনও তফাৎ নেই। তারমধ্যেও দুটি বিভাগে দুটি দলকে এগিয়ে রাখা যায়। অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে চেন্নাই অবশ্যই কলকাতার থেকে এগিয়ে শুরু করবে। আর কলকাতা এগিয়ে থাকবে স্পিন বোলিংয়ে। আজ (শুক্রবার : ১৫ অক্টোবর) চেন্নাইয়ের ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করবে কীভাবে তাঁরা কলকাতার ৩ স্পিনারের ১২টি ওভার সামলাতে পারে, তার উপর। লেগ স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ওভার পিছু রান দিয়েছেন ৬ দশমিক ৪০। অফ স্পিনার সুনীল নারাইনের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ৬ দশমিক ৬৪। বাঁহাতি স্পিনার শাকিব আল হাসানের ওভার পিছু রান দেওয়ার গড় ৬ দশমিক ৪৪। তিনজন মিলে মোট ৩৬টি উইকেট নিয়েছেন। ফর্মে থাকা রুতুরাজ গায়কোয়াড়, ফ্যাফ দু’প্লেসিরা কী করে এই তিনজনকে সামলান, তার উপর চেন্নাইয়ের ব্যাটিং নির্ভর করে রয়েছে। উল্টো দিকে শুরু থেকে, বিশেষ করে পাওয়ার প্লে-তে রুতুরাজরা ছন্দ পেয়ে গেলে চাপের মুখে অইন মর্গ্যানের দলের এই তিন স্পিনার কীভাবে বল করেন, তার উপর নির্ভর করে রয়েছে কলকাতার ভাগ্য। চেন্নাই অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে অভিজ্ঞতায়। কলকাতার যেখানে শুধু শাকিব এবং নারাইনের ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা আছে, সেখানে চেন্নাইয়ের এই দলের ১১ জন এর আগে কোনও না কোনও ফাইনালে খেলেছেন। এর একটি সহজ কারণ, চেন্নাইয়ের ন’ বার ফাইনালে ওঠা। কলকাতা সেখানে এই নিয়ে মাত্র তিন বার ফাইনালে উঠেছে। আইপিএল-এ ১৫০-র উপর ম্যাচ খেলা ক্রিকেটারের সংখ্যা চেন্নাইয়ের ৬ জন। কেকেআর দলে দেড়শোর উপর আইপিএল ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে শুধু দীনেশ কার্তিক আর হরভজন সিংহের। দুবাইয়ে ফাইনাল হওয়ায় সেটাও বাড়তি সুবিধে হতে পারে ধোনিদের। এই বছর এই মাঠে ধোনিরা চারটি ম্যাচ খেলেছেন। জিতেছেন দুটি। কলকাতা খেলেছে দু’টি ম্যাচ, জিতেছে একটি। গত আইপিএল ধরলে চেন্নাই এই পরিপ্রেক্ষিতে আরও এগিয়ে। তাঁরা গত বছর দুবাইতে সাতটি ম্যাচ খেলে চারটি জিতেছিলো। কলকাতা সেখানে দুবাইতে খেলেছিলো মাত্র তিনটি ম্যাচ, জিতেছিলো দু’টি। সবমিলিয়ে আজকের (শুক্রবার : ১৫ অক্টোবর) ফাইনাল তাই লড়াই চেন্নাইয়ের অভিজ্ঞতারসঙ্গে কলকাতার স্পিনারদের।