বাণিজ্যমেলায় বিক্রি ১০০ কোটি : অর্ডার ৩০০ কোটির
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : গেলোবারের তুলনায় এবার বাণিজ্যমেলায় জমজমাট বেচাকেনা হয়েছে। সবমিলিয়ে এবার মেলায় বিক্রি হয়েছে ১ শ কোটি টাকার পণ্য। যেখানে গত বছর বিক্রি হয়েছিলো ৭০ কোটির মতো। আর এ বছর ৩০ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (৩ শ কোটি টাকা) রপ্তানি আদেশ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে আয়োজিত ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার (ডিআইটিএফ) সমাপনী দিনে এই তথ্য জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
বাণিজ্যমেলার পরিচালক ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, গত বছর বাণিজ্যমেলায় ১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্যের রপ্তানি আদেশ মিলেছিলো। আর আনুমানিক ৮০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে সে সময়।
এ ছাড়া মেলায় ভ্যাট আদায় হয়েছিলো ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার মতো। অন্যদিকে গত বছর প্রায় সাড়ে ৯ লাখ ক্রেতা-দর্শনার্থীর সমাগম ঘটেছিলো। তবে করোনার বিধিনিষেধ না থাকায় ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় বিক্রি ও অর্ডারও মিলেছে প্রায় দ্বিগুণ। এবার বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট ৩৩১টি প্যাভিলিয়ন, স্টল ও রেস্টুরেন্ট ছিলো। যেখানে গত বছর এর তুলনায় ৪০ শতাংশ প্যাভিলিয়ন, স্টল ও রেস্টুরেন্ট ছিলো। এর মধ্যে প্যাভিলিয়ন ও স্টলে বিভিন্ন ধরনের বস্ত্র, মেশিনারিজ, কার্পেট, কসমেটিক্স, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহ সামগ্রী, চামড়া, আর্টিফিসিয়াল চামড়া ও জুতাসহ চামড়াজাত পণ্য, স্পোর্টস গুডস, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফাস্টফুড, হস্তশিল্পজাত পণ্য, হোম ডেকর, ফার্নিচার ইত্যাদি প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হয়। আর সবমিলিয়ে ভারত, হংকং, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও নেপালের মোট ১৭টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নেয়।
গত বছরের চেয়ে এবার মেলায় ১২৬টি স্টল বেশি ছিলো। এসব স্টলকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিলো ১৪ হাজার ৩৬৬ বর্গমিটার আয়তনের দুটি হল। আর কমপ্লেক্সের বাইরেও ছিলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেশকিছু প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন।
মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। তাতে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ অতিরিক্ত সচিব হাফিজুর রহমান।