বাংলাদেশে গম রপ্তানি করতে পারে ভারত।

বাংলাদেশে গম রপ্তানি করতে পারে ভারত।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : গম রপ্তানির জন্য বাংলাদেশসহ পাঁচটি দেশ ভারতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছে বলেই দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তা বলেছেন। আর বিষয়টি ভারত বিবেচনা করছে বলেই জানিয়েছেন তিনি। যা উঠে এসেছে ভারতের গণমাধ্যম লাইভ মিন্টের প্রতিবেদনে।

ভারতীয় ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে মিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর ইন্দোনেশিয়া, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাংলাদেশ ও ইয়েমেন থেকে অনুরোধ পেয়েছে ভারত। এই দেশগুলোর গমের প্রয়োজনীয়তা এবং ভারতের গম কতটুকু আছে, তার মূল্যায়ন করা হচ্ছে।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বাণিজ্য বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশ ভারত থেকে বেশি পরিমাণ গম আমদানি করতে পারে।

ভারতের সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে রাশিয়া থেকে ১০ কোটি ডলারের গম আমদানি করে দেশটি। সে সময় ইউক্রেন থেকে বাংলাদেশ গম আমদানি করেছিলো ৬১ কোটি ৮০ লাখ ডলারের।

ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব কমার্শিয়াল ইন্টেলিজেন্স অ্যান্ড স্ট্যাটিসটিকস (ডিজিসিআইএস) অনুযায়ী, ভারত ২০২১-২২ সালে বাংলাদেশে প্রায় ১ শ কোটি ডলার মূল্যের গম রপ্তানি করেছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এসব দেশের অনুরোধের একটি কারণ অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের গমের দাম কম। 

ভারতের ভোক্তা, খাদ্য ও জন বিতরণবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় গম আন্তর্জাতিক দামের তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ কম দামে বিক্রি হচ্ছে।

লাইভ মিন্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়া ২০২০ সালে ইউক্রেন থেকে ৫৪ কোটি ডলারের বেশি গম আমদানি করে। ২০২১-২২ সালে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় প্রায় সাড়ে ১০ কোটি ডলার মূল্যের গম রপ্তানি করেছে ভারত।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত গত এপ্রিলে রেকর্ড ১৪ লাখ টন গম রপ্তানি করেছে এবং মে মাসে আরও ১৫ লাখ টন রপ্তানির জন্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলো।

উল্লেখ করা যেতে পারে, কৃষ্ণসাগর অঞ্চল থেকে রপ্তানিতে ধস নামায় বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গম উৎপাদনকারী দেশ ভারতের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে বৈশ্বিক ক্রেতাদের। তবে বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় ভারত গত ১৩ মে গম রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। অবশ্য প্রতিবেশি দেশ এবং যেসব দেশ তীব্র সঙ্কটে রয়েছে, সেগুলোর সঙ্গে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি) গম সরবরাহের বিকল্প খোলা রাখে ভারত।