মুক্তিপণ নিয়ে তীরে ওঠার পর ৮ জলদস্যু গ্রেপ্তার

মুক্তিপণ নিয়ে তীরে ওঠার পর ৮ জলদস্যু গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ’র মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দিয়ে তীরে পৌঁছানোর পর ৮ জলদস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে সোমালিয়ার পুলিশ। রবিবার (১৪ এপ্রিল) উত্তর-পূর্ব সোমালিয়ার ফেডারেল রাজ্য পুন্টল্যান্ডের পূর্ব উপকূল থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমালিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। তবে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে মুক্তিপণের কোনও অর্থ উদ্ধার হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি।

সোমালিয়ার স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল পুন্টল্যান্ডের একজন ঊচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ জিম্মি করে রাখা জলদস্যুদের মধ্য থেকে ৮ দস্যুকে গ্রেপ্তার করেছে পুন্টল্যান্ডে পুলিশ। তবে জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্তিপণের টাকা উদ্ধার করা হয়েছে কি না, তা নিশ্চিত করেন নি তিনি।

এর আগে শনিবার (১৩ এপ্রিল) মাঝরাতে সোমালিয়ার উপকূল থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে মুক্তিপণ নিয়ে ছেড়ে দেয় জলদস্যুরা। সোমালিয়ার সময় দিবাগত রাত ১২টার দিকে দস্যুরা জাহাজটি ছেড়ে দেয়। বিশেষ পাহারায় জাহাজটি এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছে। আর জলদস্যুরা যায় তীরের দিকে।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে ২৩ নাবিকসহ বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহকে জিম্মি করে সোমালিয়ার দস্যুরা। জাহাজটি সোমালিয়ার গদভজিরান জেলার জেফল উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙর করে রেখেছিলো দস্যুরা। মুক্তিপণ পাওয়ার পর তারা জাহাজটি ছেড়ে যায়। তবে নৌবাহিনীর জাহাজ ও পান্টল্যান্ড পুলিশের নজরদারি এড়াতে গভীর রাতে তারা জাহাজ ছেড়ে গিয়েছিলো। তারপরও শেষ রক্ষা হলো না তাদের। পুলিশের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই জলদস্যুদের সঙ্গে আল-শাবাব জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে।

কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, আট জলদস্যু আটকের খবর আমরা বিভিন্ন মিডিয়ার খবরে জানতে পেরেছি। এর বেশি কিছু আমাদের জানা নেই।

এর আগে গত ১৭ মার্চ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ জিম্মি করার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছিলো দেশটির পুলিশ। এদিকে পুন্টল্যান্ড মেরিন পুলিশ ফোর্স সোমালিয়ার আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সমর্থনে উপকূলরেখা বরাবর নজরদারি বাড়িয়েছে।