কর্নিয়া দান করেছেন শিব নারায়ণ দাস : দেওয়া হবে দুজন অন্ধ মানুষকে

কর্নিয়া দান করেছেন শিব নারায়ণ দাস : দেওয়া হবে দুজন অন্ধ মানুষকে

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : বাংলাদেশের প্রথম পতাকার অন্যতম নকশাকার শিব নারায়ণ দাসের কর্নিয়া শনিবার (২০ এপ্রিল) সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে দুজন অন্ধ মানুষের চোখে প্রতিস্থাপন করা হবে।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি’র সভাপতি ডা. মনিলাল আইচ লিটু স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিন সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ৭৮ বছর বয়সি শিব নারায়ণ দাস। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

১৯৭০ সালের ৬ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের (তৎকালীন ইকবাল হল) ১০৮ নম্বর কক্ষে তৎকালীন বিভিন্ন ছাত্রনেতাদের সমভিব্যাহারে প্রথম লালবৃত্তের মাঝে বাংলাদেশের মানচিত্রসহ পতাকার নকশা করেন শিব নারায়ণ দাস।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তাঁর ছেলে অর্ণব আদিত্য বাবার কথা অনুযায়ী তাঁর কর্নিয়া দুটি দান করেন সন্ধানীতে। সন্ধানী আন্তর্জাতিক চক্ষু ব্যাংকে দুপুরে শিব নারায়ণ দাসের কর্নিয়া দুটি সংগ্রহ করে। সন্ধানী চক্ষু হাসপাতালে দুজন অন্ধ মানুষের মধ্যে কর্নিয়া দুটি প্রতিস্থাপন করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে ডা. মনিলাল আইচ লিটু বলেন, দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শিব নারায়ণ দাস তাঁর মননে-চিন্তায় অবদান রেখেছিলেন, মৃত্যুর পরেও তিনি দুজন অন্ধ মানুষকে পৃথিবীর সুন্দর রঙ-রূপ দেখার সুযোগ করে দিয়ে গেছেন।

‘সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি এ পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে।’

শিব নারায়ণ দাস কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা সতীশচন্দ্র দাসকে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনারা ধরে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে। শিব নারায়ণ দাসের স্ত্রীর নাম গীতশ্রী চৌধুরী এবং তাঁদের সন্তান অর্ণব আদিত্য দাস।