মেট্রোরেলে পা : হাসলো কোমলমতিরা

মেট্রোরেলে পা : হাসলো কোমলমতিরা

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : রাজধানীর মতিঝিল থেকে চড়ে দিয়াবাড়ী স্টেশনে নামা পঞ্চম শ্রেণির আবুজরকে জিজ্ঞেস করতেই বলল, ‘খুব ভালো লাগলো। অনেক আনন্দ পেয়েছি। বারবার চড়তে চাই।’

আগে কখনও মেট্রোরেলে চড়ার সুযোগ হয় নি ঢাকা ও ঢাকার বাইরের এমন ৪৮ শিশুকে রবিবার (১৭ মার্চ) ভ্রমণের সুযোগ করে দেয় সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আনন্দ ভ্রমণের জন্য এসব শিশুদের খুঁজে বের করে রাজধানীর মান্ডা এলাকার শিশু অধিকার সংগঠন ‘কথাকলা কেন্দ্র’, বাদামতলীর ‘এক মাত্রা’ ও সদরঘাটের ‘আল বারাকা’। ভ্রমণে শিশুদের চোখেমুখে ছিলো আনন্দের ঝিলিক।

মতিঝিল স্টেশন থেকে বেলা ১১টা ২০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশনের উদ্দেশে ছাড়ে ট্রেন। এ সময় শিশুদের মধ্যে মিষ্টি, কেক, চকলেট, চিপস, স্যান্ডউইচ ও ম্যাংগো ক্যান্ডি বিতরণ করা হয়। স্বাভাবিক ট্রেনের মতোই সব স্টেশনে থেমে উত্তরা উত্তর স্টেশনে পৌঁছায়। ভ্রমণকারী শিশুরা স্লোগান দিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে। লাল জামা ও নেভি ব্লু পেন্ট পরা শিশুদের হাতে প্ল্যাকার্ডে লেখা– ‘শুভ জন্মদিন, প্রিয় বঙ্গবন্ধু।’

ঝকঝকাঝক ট্রেন চলছে, তার তালে শিশুরা গাইছে– ‘আমাদের দেশটা স্বপ্নপুরী, সাথী মোদের ফুলপরী।’ এ সময় কয়েকজন গলা মেলায় ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’ গানে। চলন্ত পথে শিশুরা জানালায় চোখ গলিয়ে উপভোগ করে ঢাকা শহরের সৌন্দর্য এবং তা নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল মুখে কথা বলে তাঁরা। ভ্রমণ শেষে স্টেশন থেকে প্ল্যাটফর্মে নামার সময়ও শিশুরা ‘শুভ শুভ শুভ দিন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন’, ‘শুভ শুভ শুভ দিন, শেখ মুজিবের জন্মদিন’– স্লোগানে মুখর করে তোলে। সুন্দর এ আয়োজনের জন্য তাঁরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দিতেও ভুল করে নি। এরপর উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে বিআরটিসি'র বাসে করে ঢাকা শহর ঘুরতে বের হয় শিশুরা। তাঁরা এদিন জাতীয় সংসদ ভবন, জাদুঘর ও শহীদ মিনারে যায়।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিকসহ কর্মকর্তারা মেট্রো ভ্রমণে শিশুদের দারুণ সঙ্গ দেন।

গত বছরও জাতির পিতার জন্মদিনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মেট্রো ভ্রমণের সুযোগ করে দিয়েছিলো সরকার।