লেখক ফরহাদ খান আর নেই

লেখক ফরহাদ খান আর নেই
ডন প্রতিবেদন : লেখক, গবেষক ও প্রাবন্ধিক ফরহাদ খান আর নেই। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন তিনি। ফরহাদ খান ক্যানসারেও আক্রান্ত ছিলেন। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শুক্রবার (পহেলা অক্টোবর) ভোরে মারা যান বলে বাংলা একাডেমির জনসংযোগ কর্মকর্তা পিয়াস মজিদ জানিয়েছেন। বাংলা একাডেমির সাবেক পরিচালক ফরহাদ খানের বয়স হয়েছিলো ৭৭ বছর। এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন ফরহাদ খান। তাঁর স্ত্রী গত হয়েছেন আগেই। বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা কাজী জাহিদুল হক জানান, বেশ কিছুদিন ধরে তিনি ক্যানসারে ভুগছিলেন। এরমধ্যেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়লে গত সপ্তাহে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকেরা তাঁকে বাঁচাতে পারেন নি। সকাল সাড়ে ১০টায় জানাজা শেষে মিরপুর ১১ নম্বরের জান্নাতুল মাওয়া কবরস্থানে ফরহাদ খানকে দাফন করা হয়। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদাও জানাজায় উপস্থিত ছিলেন বলে পিয়াস মজিদ জানিয়েছেন। ১৯৪৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফরহাদ খান। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে বাংলায় লেখাপড়া করে ১৯৭০ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী কলেজে তিনি কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৩ সালে বাংলা একাডেমিতে যোগ দেওয়ার পর ভাষা-সাহিত্য, সংস্কৃতি ও পত্রিকা বিভাগে দায়িত্ব পালন করেন ফরহাদ খান। ২০০২ সালে তিনি পরিচালক হিসেবে অবসরে যান। জার্মানির ডয়েচে ভেলের বেতার বিভাগেও তিন বছর কাজ করেছেন তিনি। প্রবন্ধ সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৯ সালে ‘সাহিত্যিক মোহম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধ সাহিত্য পুরস্কার’ পান ফরহাদ খান। লেখালেখির পাশাপাশি টেলিভিশনে ভাষা নিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপনারসঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। প্রতীচ্য পুরাণ, বাংলা শব্দের উৎস অভিধান, চিত্র ও বিচিত্র, হারিয়ে যাওয়া হরফের কাহিনী, শব্দের চালচিত্র, নীল বিদ্রোহ, বাঙালির বিবিধ বিলাস তার প্রকাশিত বই। বাংলা একাডেমি ছোটদের অভিধানসহ বেশ কয়েকটি বইয়ের সম্পাদনার কাজেও যুক্ত ছিলেন তিনি।