লজ্জার হারে বিশ্বকাপ শুরু স্বাগতিক কাতারের

লজ্জার হারে বিশ্বকাপ শুরু স্বাগতিক কাতারের

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ ও ডন : ফুটবল বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে প্রথম স্বাগতিক হিসেবে উদ্বোধনী ম্যাচ হেরেছে কাতার। ডুবেছে লজ্জায়। গ্রুপের আন্ডারডগ ইকুয়েডর ২-০ গোলের জয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছে।

এর আগের ২১ আসরে বিশ্বকাপের স্বাগতিক হয়েছে ২২ দেশ (২০০২ সালে জাপান ও কোরিয়া যৌথ)। এর মধ্যে ১৬ ম্যাচে স্বাগতিক দল জয় পেয়েছে। বাকি ছয়টি ম্যাচ ড্র হয়েছে। 

দক্ষিণ আমেরিকার দল ইকুয়েডর জানে কীভাবে ফুটবল খেলতে হয়। র‌্যাঙ্কিংয়ে ১২তম অবস্থানে থাকা ব্রাজিল-কলম্বিয়ার প্রতিবেশি দেশটি ম্যাচের ৩ মিনিটেই কাতারের জালে বল জড়িয়ে দেয়। বুঝিয়ে দেয় তাঁরা লাতিনের ফুটবল ঐতিহ্যের সমৃদ্ধ দেশ। তাঁদের ছোট করার সুযোগ নেই। 

কিন্তু বিশ্বকাপের নতুন অটোমেটেড অফসাইড প্রযুক্তিতে ইনার ভ্যালেন্সিয়ার ওই গোল বাতিল হয়ে যায়। মন খারাপ হলেও উৎসবের ক্ষণ ফিরিয়ে আনতে বেশি সময় নেন নি ভ্যালেন্সিয়া। ম্যাচের ১৬ মিনিটে পেনাল্টি থেকে দলকে লিড এনে দেন তিনি। 

গোল মুখে তাঁকে কাতারের গোলরক্ষক সাদ আল সাঈব ফাউল করেন। হলুদ কার্ডও দেখেন অভিজ্ঞ ওই গোলরক্ষক। স্পট কিক পেয়ে যায় চিলি-কলম্বিয়াকে লাতিন অঞ্চল থেকে বিদায় করে বিশ্বকাপে আসা ইকুয়েডর। এখানেও রেকর্ড। বিশ্বকাপ ইতিহাসে এই প্রথম আসরের প্রথম গোলটি হলো পেনাল্টি থেকে।

ওই গোলের উৎসব মুছতে না মুছতেই দ্বিতীয় গোল করে ইকুয়েডর। ম্যাচের ৩১ মিনিটের গোলও করেন ইনার ভ্যালেন্সিয়া। তিনি হেড করে দলকে প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে নেন। দ্বিতীয়ার্ধে খেলার গতি কিছুটা কমে। গোলও হয় নি। ইকুয়েডর গোলের সুযোগ তৈরি করলেও তা জোরালো ছিলো না।

ম্যাচে স্বাগতিক কাতার গোল হওয়ার মতো কোনও শটই নিতে পারে নি। তবে আক্রমণ তুলেছিলো পাঁচটি। এর মধ্যে প্রথমার্ধের শেষ বাঁশির আগে কেবল হেড থেকে গোল করার মতো একটা সুযোগ তৈরি করেছিলো তাঁরা। ম্যাচের ছড়ি হাতে রেখে জয় পেলেও ইকুয়েডরের খেলোয়াড়দের ভর করেছে চিন্তা। ফেনারবেসে খেলা দলটির ৩৩ বছর বয়সী তারকা ভ্যালেন্সিয়া ম্যাচের ৭১ মিনিটে ইনজুরি নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন।