লিটারে সয়াবিন তেলের দাম ৬ টাকা কমলো : আজ থেকে কার্যকর।

লিটারে সয়াবিন তেলের দাম ৬ টাকা কমলো : আজ থেকে কার্যকর।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : বোতলজাত সয়াবিন তেল লিটারে ৬ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কর্মকর্তা নূরুল ইসলাম মোল্লা গতকাল রোববার (২৬ জুন) এ তথ্য জানিয়েছেন। নতুন দাম অনুযায়ী, খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৮০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১৯৯ টাকা, ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৭ জুন) থেকে এ দাম কার্যকর হবে বলেই জানান তিনি।

এর আগে গত ৯ জুন বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। মূল্যবৃদ্ধির পর সে সময় এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরামূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৮৫ টাকা। আর বোতলজাত এক লিটারের দাম নির্ধারণ করা হয় ২০৫ টাকা।

এ ছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয় সর্বোচ্চ ৯৯৭ টাকা। এক লিটার খোলা পাম তেলের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১৫৮ টাকায়।

সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সুখবর অবশ্য আগেই দিয়েছিলেন বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) দ্বাদশ মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্স উপলক্ষে রোববার (২৬ জুন) সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সুখবর দেন। তবে বাণিজ্যসচিব বলেছিলেন, ‘তেলের দামের ক্ষেত্রে আগামী দু-একদিনের মধ্যে একটা সুখবর আসতে পারে। আশা করছি, দাম কমবে। এখন সেই হিসাব-নিকাশ করা হচ্ছে। ট্যারিফ কমিশন তেল রিফাইনারি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করে আমাদের জানাবে। তারপর আমরা জানাতে পারবো, কত টাকা কমবে। তবে বলা যায় যে, তেলের দাম কমবে।’

দেশে প্রথমবারের মতো মূল্যস্ফীতি ৭ শতাংশের বেশি হয়েছে জানিয়ে তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বিশেষ করে তেলের দামের ক্ষেত্রে আমরা এখন হিসাব-নিকাশ করছি। ট্যারিফ কমিশন প্রাথমিকভাবে তথ্য নিয়ে মিলমালিক বা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে (আলোচনা করে)। সেখান থেকে রিপোর্ট আসার পর বাণিজ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে ঘোষণা দেওয়া হয়। এটা গোপনীয়তার কিছু নেই বা আমরা ঘটা করে জানাইও না। সংবাদ সম্মেলন করে আপনাদের সেটা জানানো হয়। তাই তেলের দাম কমলেও সবাই জানবেন, বাড়লেও জানবেন। সরকারিভাবে আমরা দাম বাড়ানো বা কমানোর ক্ষেত্রে একই ফর্মুলা ব্যবহার করি। অনেক সময় সরকার বাড়ানোর আগেই খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেন। সেজন্যই ভোক্তা অধিকার ও জেলা প্রশাসন কাজ করে। বিক্রেতারা কোথায় দাম বেশি নেন, সেটা তারা দেখে।’

সচিব বলেন, ‘আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের দাম কমেছে। এই তেল প্যারাগুয়ে, ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা থেকে আমাদের দেশে আসে। সেখান থেকে তেল আসতে কমপক্ষে ৪৫ থেকে ৬০ দিন লেগে যায়। এখানে সময়ের একটি গ্যাপ রয়েছে। তাই চাইলেও দেশের বাজারে তাৎক্ষণিক দাম কমানো যায় না। তবে সুখবর হলো ইন্দোনেশিয়া থেকে এখন কিছু তেল আসে। সেখান থেকেও আসতে ১৫ থেকে ২০ দিন সময় লাগে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে, আবার ডলারের দামও বেড়েছে। সেটাও মাথায় রাখতে হবে। এ দুটি বিষয় সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করা হবে।’