শেখ রাসেলের হত্যাকারীদের ইতিহাস ক্ষমা করবে না : ওবায়দুল কাদের
বাসস : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ রাসেলকে যারা হত্যা করেছে এবং ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত, ইতিহাস তাদের ক্ষমা করবে না।
আজ মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট ছেলে শহিদ শেখ রাসেলের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এই হত্যাকাণ্ড ক্ষমার অযোগ্য। যারা ইনডেমনিটি দিয়েছিলো, তাদের উত্তরাধিকার বহন করছে বিএনপি। বিএনপির হাতে বাংলাদেশ ও দেশের শাসন নিরাপদ নয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি এ দেশের রাজনীতির জন্য বিষফোঁড়া। দেশের নিরাপত্তা, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিএনপি বড় অন্তরায়।
এর আগে শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিনে তাঁর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ সময় ১৫ আগস্টে নিহত সকল শহিদের স্মৃতির প্রতিও শ্রদ্ধা জানায় আওয়ামী লীগ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শেখ রাসেলের কবরের পাশে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন ও ফাতেহা পাঠ করেন নেতাকর্মীরা। পরে আওয়ামী যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ, শ্রমিক লীগ ও মহিলা আওয়ামী লীগ ছাড়াও অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলো তাঁর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত বছর থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন ‘শহিদ শেখ রাসেল দিবস’ হিসেবে উদ্যাপিত হচ্ছে। শেখ রাসেল জাতীয় দিবসের এবারের মূল প্রতিপাদ্য, ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক, দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট ভাই শেখ রাসেল ১৯৬৪ সালের এদিনে ধানমন্ডির ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত বঙ্গবন্ধু ভবনে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মানবতার শত্রু ঘৃণ্য ঘাতকদের নির্মম বুলেট থেকে রক্ষা পান নি শিশু শেখ রাসেলও। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নরপিশাচরা নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো তাঁকেও। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।