স্বাস্থ্যমন্ত্রী : বুস্টার ডোজ নিলে করোনার ঝুঁকি অনেক কমে যাবে।
বাসস : বুস্টার ডোজ নিলে করোনাভাইরাসের ঝুঁকি অনেক কমে যাবে বলেই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
দেশ ও দেশের বাইরে মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবারও বাড়ায়, যাঁরা বুস্টার ডোজ নেন নি, তাঁদের শিগগিরই টিকাটি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ে সভা কক্ষে দেশীয় ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন ওষুধ শিল্প সমিতির সঙ্গে সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘যাঁরা এখনো বুস্টার ডোজ নেন নি, শিগগির নিয়ে নিন। কারণ করোনা কিছুটা হলেও প্রতিদিনই বাড়ছে। আশপাশের দেশগুলোতেও সংক্রমণ বাড়ছে।’
তিনি বলেন, বুস্টার ডোজ নিলে আপনি সুরক্ষিত থাকবেন। যাঁরা নিয়েছেন তাদের মৃত্যুঝুঁকি নেই বললেই চলে। তাই আমরা আহ্বান করবো, যাঁরা এখনও বুস্টার ডোজ নেন নি, অতি শিগগির নিয়ে নিন।’
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যের কোনও বিষয় চাপিয়ে দেওয়ার নয়। এটা স্বাধীন দেশ, সব নাগরিকের স্বাধীন চিন্তা-ভাবনা রয়েছে। আমাদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব তাঁদের অবহিত করা। টিকা নিলে কী সুবিধা, না নিলে কী অসুবিধা- এ বিষয়গুলো আমরা তুলে ধরছি। বাকি সিদ্ধান্ত যাঁর যাঁর, এখানে চাপিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। আমরা চাপিয়ে দিতেও পারবো না।
বৈঠক প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, খাদ্যদ্রব্যের দাম বেড়েছে এটা আপনারা জানেন। সামনে যাতে ওষুধের দাম না বাড়ে, সেদিকে লক্ষ্য রাখার জন্যই আজকের এ আলোচনা। যেহেতু অনেক কিছুর দাম বেড়েছে, সেহেতু এর প্রভাব ওষুধ শিল্পেও পড়বে। ডলারের দামও বেড়েছে, তেমনি বিদেশ থেকে নিয়ে আসা কাঁচামালের দামও বেড়েছে। আমরা সবকিছু নিয়েই আলোচনা করেছি। দেশে উৎপাদিত ওষুধের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক রাখতে ওষুধ শিল্প সমিতির নেতারা একমত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, আলোচনায় আমরা সবাই নীতিগতভাবে একমত হয়েছি যে, ওষুধের উৎপাদন বজায় রাখবো। আমাদের মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ওষুধ প্রশাসন তাঁদের সহযোগিতা করবে, যে কোনও সমস্যা দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান করে নেবেন।
‘এ ছাড়া আমাদের ওষুধের মানও তাঁরা বজায় রাখবেন। পাশাপাশি ওষুধের দামও সহনীয় পর্যায়ে রাখবেন।’
‘সব শ্রেণির মানুষ যাতে ওষুধ কিনতে পারে, এটিই আমাদের আলোচনার মূল বিষয়।’
সভায় বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান পাপন এমপি, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম শফিউজ্জামানসহ বিভিন্ন ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।