সিলেটের সুরমায় ইঞ্জিন বিকল হয়ে লঞ্চে ভাসছেন শতাধিক শিক্ষার্থী!
নিজস্ব প্রতিবেদক, বাঙলা কাগজ; সিলেট : সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট শহরের উদ্দেশে রওনা দিয়ে সুরমা নদীর চরে আটকা পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লঞ্চে আটকে পড়া ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শোয়েব আহমেদ।
জানা গেছে, শনিবার (১৮ জুন) দুপুর ২টার দিকে পুলিশ লাইন্স থেকে ‘কপোতাক্ষ অনির্বাণ ট্যুরিজম বোট’ নামের একটি লঞ্চে করে ঢাবির ৪৫ জন ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী সিলেট শহরের দিকে রওনা দেন। কিন্তু রাত সাড়ে ৮টার দিকে তাঁরা সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের কাছে সুরমা নদীর চরে আটকা পড়েন।
ভুক্তভোগীরা জানান, তাঁদের লঞ্চটি একদিকে হেলে পড়েছে। বিকল হয়ে গেছে লঞ্চের দুটি ইঞ্জিন।
আটকে পড়া শিক্ষার্থী শোয়েব আহমেদ বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘রাত হয়ে গেছে। এখানে খুব অন্ধকার। চারিদিকে পানি আর পানি। বিভিন্ন জায়গায় সাহায্যের আবেদন করেছি। কিন্তু কেউ ঠিকমতো সাহায্য করতে পারছে না। এখানে প্রচুর স্রোত। বৃষ্টিও প্রচুর। এই রাতে সবাই জীবন নিয়ে শঙ্কায় রয়েছি। জরুরি ভিত্তিতে আমাদের উদ্ধার করার আহ্বান জানাচ্ছি।’
জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছি। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানাচ্ছি’।
এর আগে সুনামগঞ্জে বেড়াতে গিয়ে একটি হোটেলে আটকা পড়ে ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২১ শিক্ষার্থী। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাঁরাসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থীকে সিলেটে পাঠানো হচ্ছিলো।