আব্দুল্লাহ আল ফারুক মুরাদ’র কবিতা ‘আমি প্রজ্বলিত শিখা’।
কখনো কখনো সময় গড়িয়ে
অন্য সময়ের মুখোমুখি হই
সে সময় হয়ে উঠে দুর্বিষহ;
হাতের মুঠো হতে সবই ফসকে যায়
অন্যের কব্জায়।
সবকিছু তখন অশুভ প্রতীকে
চারপাশটা প্রতিকূলের মেঘে আচ্ছন্ন
যেনো অন্ধ, কালো আঁধারে ডুবে যাচ্ছি
কেউই এসে উঁকি দেয় না
আমার ভেতরে বয়ে চলা তাইফুন।
সহসা মরে যাই একাকীত্বে বারংবার
একবার নয়;
শতবার নয়;
কোটিবার নয়;
অনন্ত বার।।
কি বীভৎস গ্রাসে
আমি বাঁচতে চাই
সবকিছুই ভুলে
নতুন করে, ঠিক শুরু হতে।
তবুও অতল গহ্বরে
অবাঞ্চিত হই;
সব দোষ মাথা পেতে;
নিয়তির হাতে বন্দি অন্যের দোষে।
সময় আর আমি তখন
অচেনা পথে টালমাটাল ঘোরে;
সবই ঘটে চলে মিথ্যার কারসাজিতে।
তবুও আমি শির উঁচু করি
ফের বাঁচতে চাই মরণ কামড়ে।
হারতে শিখি নি আমি;
মারতেও নয় বৃথা;
কারণ আমি জয়ী
নিজের গড়া মনুষ্য ভূলোকে।
আমি হয়তো মরে যাই বার-বার
তবুও বেঁচে রই আমার সততার বাঁকে কোটিবার।
ধেঁয়ে চলি পথ-প্রান্তরে
ললাটে রুদ্রতা মেখে
বুক টান করে নিজের গড়া ছকে।
মাথা নোয়াতে শিখি নি আমি
যদি যায় যাক এ মস্তক কাঁটা;
তবুও আমি বিষাদে ডুবে যাবো না
দু’হাতে সব কিট করবো ধ্বংস।
কারণ...
আমি আজ এক প্রজ্বলিত শিখা।।