নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : বাঙলা কাগজ স্বাধীনতা দিবস চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় হওয়া আমাদের ইমরুল কায়েস রাফসান জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২ শতাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। বিষয়টি জানিয়েছেন রাফসানের মা ফাতেমা আহমেদ।
তিনি জানান, রাফসান শহিদ পুলিশ স্মৃতি কলেজে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়েন।
মাত্র ১১ বছর বয়সেই রাফসান চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃত্তি, কবিতা লেখা, গল্প লেখা ও রচনা প্রতিযোগিতায় ২ শতাধিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
সবচেয়ে বড় বিষয় রাফসান এখন পাইথন প্রোগ্রামিংয়ের কাজ করছেন। একটি ইউটিউব চ্যানেলেও তিনি বাচ্চাদের ড্রয়িং শেখান।
রাফসানের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। তবে রাফসান জন্ম নিয়েছেন ঢাকার ভাটায়।
রাফসানের বাবা কামরুল ইসলাম একজন প্রবাসী। তিনি সাউথ আফ্রিকায় থাকেন। রাফসানের মায়ের নাম ফাতেমা আহমেদ। তিনি একজন গৃহিনী। রাফসানের আর কোনও ভাই-বোন নেই।
রাফসান ভবিষ্যতে একজন বিজ্ঞানী হতে চান।
তিনি নতুন কিছু উদ্ভাবন করে বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে দাঁড় করিয়ে দিতে চান। পাশাপাশি রাফসানের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় রয়েছে একজন সেনা কর্মকর্তা হওয়া।
রাফসানের শখ গল্প লেখা, গল্প পড়া ও ইংরেজিতে ফ্লোয়েন্ট স্পিকার হওয়া।
রাফসানের মা ফাতেমা আহমেদ আরও জানান, ড্রয়ি়ং হলো রাফসানের জীবনের একটি অংশ। যা ছাড়া তাঁর চলবে না।
রাফসানের ভালো লাগে রং নিয়ে আঁকতে, নিজের ইচ্ছেমতো পৃথিবীটাকে সাজাতে।
বিদেশেও লেখাপড়া করতে চান রাফসান। তাঁর প্রিয় ফল কমলা। প্রিয় খাবার মায়ের হাতের ভুনা খিচুড়ি ও গরুর মাংস। প্রিয় রং লাল ও কালো। প্রিয় জায়গা (যেটাকে সব সময় মিস করেন) মামা বাড়ি কুমিল্লা।
রাফসান মা-বাবা দুজনকেই ভীষণ পছন্দ করেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে, বাঙলা কাগজ স্বাধীনতা দিবস চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম হন সিনথিয়া আক্তার। আর যুগ্মভাবে দ্বিতীয় হন ইমরুল কায়েস রাফসান ও জাইমা জাহান। পাশাপাশি যুগ্মভাবে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন আর রাফি আনজুম ও সুমাইয়া আক্তার।