ইউরোপের মতো আমাদের দেশে বিদ্যুতের দাম বাড়ে নি : তথ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, সারা বিশ্বে জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। আমাদের বিদ্যুৎ খাত এখনো জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভর। কন্টিনেন্টাল ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যে জ্বালানি মূল্য বৃদ্ধির কারণে বিদ্যুতের রেশনিং করা হচ্ছে, দাম বাড়ানো হচ্ছে। আমাদের দেশে কিন্তু সেইভাবে দাম বাড়ানো হয় নি।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) সকালে রাজশাহী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, বিদ্যুৎ খাতে আমাদের সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিচ্ছে। জনগণের যেন অসুবিধা না হয়, তাদের যেন সুলভ মূল্যে বিদ্যুৎ দেওয়া যায়, সে জন্যই এই ভর্তুকি। সেই ভর্তুকি কিছুটা কমানোর জন্য বিদ্যুতের মূল্য সামান্য বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়েছে। সেটিও উন্নত দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম।
বিএনপির আন্দোলন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহ্মুদ বলেন, গত ১৪ বছর ধরে তারা যে নানা ধরণের আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে, বিএনপির সামনের কর্মসূচিও তারই ধারাবাহিকতা ছাড়া আর কিছু হবে না।
১৬ জানুয়ারি বিএনপির দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে বিএনপি যে অবস্থান কর্মসূচি পালন করলো বা আগামী ১৬ তারিখে যে মিছিল, সেগুলো একটা ডিম পাড়ার আগে হাঁস যেমন অনেক হাঁকডাক দেয়, ঠিকে তেমনই।
বিএনপির আন্দোলনের ধারা নিয়ে হাছান মাহ্মুদ বলেন, আমরা জনগণের রায় নিয়ে সরকার গঠনের পর থেকেই বিএনপি কঠোর, কঠোরতর এবং বিভিন্ন সময় নানা ধরণের নাম দিয়ে আন্দোলন করেছে, নানা ঘোষণা দিয়েছে। একবার আন্দোলন করার পর বলে আবার শীতের পরে আন্দোলন হবে, গ্রীষ্মের পরে, বর্ষার পরে, বার্ষিক পরীক্ষার পরে হবে এবং আরো নানা টাইম তারা দিয়েছে। তাদের সামনের কর্মসূচিও গত ১৪ বছরের ধারাবাহিকতা ছাড়া আর কিছু হবে না।
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আমরা জনগণকে সাথে নিয়ে রাজনীতি করি। আমাদের শক্তি জনগণ। সাম্প্রতিক সময়েও আপনারা দেখেছেন সমগ্র বাংলাদেশে যে জনসভাগুলো আমরা করেছি, সেখানে লক্ষ লক্ষ লোকের সমাবেশ। জনগণ যে আমাদের সাথে আছে, সেটি সাম্প্রতিক সময়েও বিভিন্ন সমাবেশে প্রতীয়মান হয়েছে।
আগামী ২৯ জানুয়ারি রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা আয়োজন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহ্মুদ বলেন, ২৯ তারিখে যে জনসভা হতে যাচ্ছে, সেদিন রাজশাহী শহর লোকে লোকারণ্য হয়ে যাবে। সমাবেশ মাঠে হবে, কিন্তু পুরো শহরই সেদিন সমাবেশে পরিণত হবে। লক্ষ লক্ষ লোক হবে।