ঈদ সামনে রেখে তৎপর নোট জালকারীরা।

ঈদ সামনে রেখে তৎপর নোট জালকারীরা।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : দুই ঈদে বিপুল পরিমাণ নতুন নোট বাজারে ছেড়ে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক। মূলত মুদ্রানীতির ওপর ভিত্তি করেই এসব নতুন নোট বাজারে ছাড়া হয়। যেখানে সম পরিমাণ পুরোনো নোট বাজার থেকে তুলে ফেলা হয় এবং ছেঁড়া-ফাটা নোটও এর অন্তর্ভুক্ত হয়। তবে একটি অংকের নতুন নোট বাজারে ছেড়ে থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সবমিলিয়ে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করেও বাজারে নতুন নোট ছাড়ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এই নতুন নোট ছাড়ার সময়টাতেই ফাঁদ পেতে বসে থাকে নোট জালকারীরা। ঈদুল ফিতরের সময় শপিংমলগুলোতে আর ঈদুল আজহায় শপিংমলের পাশাপাশি কোরবানির পশুর হাটে জালনোট ছড়িয়ে দিতে তৎপর থাকে তারা।

জালনোট শনাক্তকরণের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মতৎপরতা সম্পর্কে জানতে নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলামকে কল দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

জানা গেছে, প্রতিবছর কোরবানির পশুরহাটে জালনোট শনাক্তকরণের যন্ত্র সরবরাহ করে থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, নোট জালকারীদের ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।

সূত্র জানায়, নোট জালকারীরা বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হলেও তারা জামিনে বের হয়ে এসে আবারও এই পেশায় জড়িয়ে পড়ে। এক্ষেত্রে তাদেরকে শনাক্ত করতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের তেমন বেগ পেতে না হলেও সাধারণ মানুষকে জালনোট শনাক্ত করতে বেগ পেতে হয়। কারণ একজন ‘দক্ষ’ নোট জালকারীর নোট একজন সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা দায় হয়ে পড়ে।

সূত্র আরও জানায়, ঈদুল আজহাকে ঘিরে বড় বড় কোরবানির পশুর হাটগুলোতে জালনোট ছড়িয়ে দেওয়ার অপতৎপরতা চালিয়ে থাকে নোট জালকারীরা। যেখানে নোট জালকারীর হাত থেকে পাইকার, পাইকারের হাত থেকে ২/৩ জন খুচরা ব্যবসায়ীর হাত হয়ে চলে যায় সাধারণ মানুষের হাতে।