উত্তরেও চোখ রাঙাচ্ছে তিস্তা।
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; লালমনিরহাট : বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তা নদীর পানি। ডালিয়া পয়েন্টে আজ শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল ৯টার দিকে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো।
তিস্তায় পানি বৃদ্ধির ফলে লালমনিরহাটের নদীবেষ্টিত নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, গোকুন্ডা, মহিষখোচা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানি বাড়লে নতুন বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ধরলা নদীর পানিও বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলেই জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান।
শুক্রবার সকাল থেকে ধরলার পানি বিপৎসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলিমারী গ্রামের পানিবন্দি সাইফুল ইসলাম বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ধরলা নদীর পানি গ্রামের বেশকিছু বাড়িতে ঢুকেছে। পানিতে গ্রামের রাস্তাঘাট ডুবে গেছে। কলাগাছের ভেলা ও নৌকায় করে যাতায়াত করছি।’
এদিকে তিস্তার পানিতে নীলফামারীর টাবুরচর, বাঘের চর, খড়িবাড়ি, ঝাড়সিংহেশ্বর, কিসামতের চরসহ অন্তত ১০টি এলাকা প্লাবিত হয়েছে। টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১ শ পরিবার।
পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফা উদ দৌলা বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘উজানের ঢলের কারণে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। আমরা ব্যারেজ এলাকাসহ আশপাশ মনিটরিং করে চলেছি।’