এবার উত্তর সিটির ময়লার গাড়ির ধাক্কায় প্রাণ গেলো এক গণমাধ্যমকর্মীর।
ডন প্রতিবেদন : মাত্র একদিনের ব্যবধান। রাজধানীতে সিটি করপোরেশনের ময়লার গাড়ির চাপায় আবার এক প্রাণ ঝরল। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি কমপ্লেক্সের উল্টোদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ময়লার গাড়ির চাপায় প্রাণ হারালেন আহসান কবির খান। কবির খান প্রথম আলোর সাবেক কর্মী। গতকাল বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটির ময়লার গাড়ির চাপায় মৃত্যু হয় নটরডেম কলেজের ছাত্র নাঈম হাসানের। এ ঘটনায় কাল থেকে আজ পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছে নগরজুড়ে। আজ বসুন্ধরা সিটির সামনের ঘটনা নিয়ে প্রত্যক্ষদর্শী মো. সাব্বির বলেছেন, অন্যসব যানবাহনেরসঙ্গে উত্তর সিটির ময়লার গাড়িটি আটকে ছিল। সিগন্যাল ছাড়া মাত্রই সিগন্যালে থাকা একটি মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলে থাকা আহসান কবীর খান ছিটকে পড়েন। তিনি বাইকের পেছনে ছিলেন। তাঁর মাথার ওপর দিয়ে গাড়ির চাকা চলে যায়। এরপর পেছন থেকে লোকজন ধাওয়া দেয় গাড়িটিকে। গ্রিনরোড সিগন্যাল পর্যন্ত গিয়ে চালক এবং তার সহযোগী গাড়ি সেখানে রেখে পালিয়ে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, মোটরসাইকেলে দুজন ছিলেন। আরেকজন কোথায় পুলিশ তা বলতে পারছে না। আহসান কবীর খানকে ধরাধরি করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ময়লা বহন করা গাড়িটি এখনো সিগন্যালে আছে। এই এলাকার ট্রাফিক সার্জেন্ট অসীম কুমার সূত্রধর বলেন, ঘটনাটা ঘটেছে আড়াইটার দিকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে তারা আর মোটরসাইকেলটি পান নি। ধারণা করা হচ্ছে, মোটরসাইকেলে দুজন ছিলো। নিহত কবীরের মাথা থেঁতলে গেছে। তাঁকে খালি চোখে চেনার কোনো উপায় নেই। তাঁর কাছে থেকে পরিচয়পত্র থেকে তাঁকে শনাক্ত করা হয়। গতকালই ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের বাসা থেকে আরামবাগের নটর ডেম কলেজে যাওয়ার পথে গুলিস্তানে রাস্তা পার হওয়ার সময় ডিএসসিসি ময়লার গাড়ির চাপায় মৃত্যু হয় নাঈম হাসানের। গতকাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গুলিস্তান হল মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।