কক্সবাজারের পর কুয়াকাটায়ও হোটেল-মোটেলের ৭০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং।

কক্সবাজারের পর কুয়াকাটায়ও হোটেল-মোটেলের ৭০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঙলা কাগজ; কুয়াকাটা : মঙ্গলবারই (৩ মে) মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হবে। এবারের ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারের পর কুয়াকাটা সৈকতে লাখ লাখ পর্যটকের আগমন ঘটবে বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এক্ষেত্রে তাঁরা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস, রিসোর্ট ও কটেজের ৭০ শতাংশ কক্ষই আগাম বুকিং হয়ে গেছে। করোনা মহামারির কারণে গত দুই ঈদে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকের দেখা মেলে নি। ফলে অর্থনৈতিক সঙ্কটে ভুগছিলেন পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীরা। তবে এ বছর পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। ঈদের আগে হোটেল-মোটেলের অবশিষ্ট কক্ষগুলোও ভাড়া হয়ে যাবে বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। ব্যবসায়ীদের ধারণা, ঈদের দিন থেকেই পুরো এক সপ্তাহ পর্যটকদের পদচারণায় মুখরিত থাকবে সমুদ্র সৈকত। ব্যস্ততায় দিন কাটবে পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীদের। এদিকে পর্যটকদের বরণ করে নিতে ইতোমধ্যে হোটেল ও রেস্তোরাঁসহ বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে সাজসজ্জা ও সকল সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে। হোটেল ও মোটেলগুলো নানা রঙ্গে রঙ্গিন করে তুলেছেন হোটেল মালিকেরা। আর বিনোদনকেন্দ্রগুলোও পেয়েছে নতুন রুপ। হোটেল-মোটেল মালিকেরা জানান, পর্যটক না থাকায় রমজান মাসে সৈকত এলাকার দোকানপাট, ঘোড়া, বিচবাইক, চেয়ার-ছাতা, চা-কফি বিক্রির ভ্রাম্যমাণ দোকান, ভাজা মাছ বিক্রির দোকানপাট অলস সময় পার করছিলো। অনেকটাই বেকার ছিলেন আলোকচিত্রীরা। তবে ঈদের দিন থেকেই এসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা চাঙ্গা হয়ে উঠবে। তখন জমজমাট হয়ে উঠবে কুয়াকাটার জিরো পয়েন্ট থেকে শুরু করে লেম্বুরবন পর্যন্ত এলাকা। রাখাইন পল্লি ও মিস্রিপাড়াসহ দর্শনীয় ও বিনোদনের কেন্দ্রগুলোতেও থাকবে উপচেপড়া ভিড়। সিকদার রিসোর্ট অ্যান্ড ভিলাসের অপারেশন ম্যানেজার আল আমিন উজ্জ্বল বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘পুরো রমজানে হোটেলে তেমন কোনও গেস্ট ছিলো না।’ ‘ঈদের দিন থেকেই গেস্ট আসা শুরু করবে। তাঁদের বরণে যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’ হোটেল গোল্ডেন ইনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম জহির বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, ‘আমরা পর্যটকদের সেবা দিতে সম্পুর্ণরূপে প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। কিছু কক্ষ রিজার্ভেশন বাকি আছে, আশা করছি তাও শেষ হয়ে যাবে।’ কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বাঙলা কাগজ ও ডনকে বলেন, করোনার কারণে আমরা শত কোটি টাকা লোকসান দিয়েছি। গত দুই বছরের ঈদে পর্যটকদের উপস্থিতি তেমন ছিলো না। এবার ঈদের ভালো ব্যবসার মাধ্যমে সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে শুরু করবো বলে আশা করছি। ‘আমরা সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। রুম ভাড়ার তালিকা টানিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। কেউ বেশি ভাড়া ডিমান্ড করলে আমরা দ্রুত ট্যুরিস্ট পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’