চিনির দাম কেজিতে ২৬ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব : কমেছে বিক্রি

চিনির দাম কেজিতে ২৬ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব : কমেছে বিক্রি

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর পর জানা গেলো চিনির বাজারের অস্থির পরিস্থিতির মধ্যেই গত মাসের ১৭ এপ্রিল বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনে চিনির দাম কেজিতে ২৬ টাকার বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠিয়েছেন আমদানিকারকেরা। বৃহস্পতিবার (৪ মে) বাড়ে ভোজ্যতেলের দাম।

আমদানিকারকদের দাবি, বিশ্ববাজারে লাগামহীনভাবে বাড়ছে চিনির দাম। তাই কাটছে না সঙ্কট। গত কয়েক মাস ধরেই অস্থির চিনির বাজার। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না চিনির দাম। আবার মিলছে না সব দোকানেও। এতে নাজেহাল ভোক্তারা।

এদিকে অস্বাভাবিক দাম বাড়ার কারণে খুচরা বাজারে সৃষ্টি হয়েছে সঙ্কট। আবার বাড়তি দাম দিয়েও ভোক্তারা খুচরা বাজার ঘুরে চিনি কিনতে পারছেন না। ব্যবসায়ীরা বলছেন, দামের কারণে তাঁরা চিনি তুলতে সাহস পাচ্ছেন না। আবার বাড়তি দাম দিয়েও ভোক্তারা খুচরা বাজার ঘুরে চিনি কিনতে পারছেন না। 

আব্দুল মোনেম সুগার রিফাইনারি লিমিটেডের হেড অব সেলস মনিরুজ্জামান বাঙলার কাগজকে বলেন, বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত চিনির দাম বেড়ে ৬৮০ থেকে ৭ শ ডলার হয়ে গেছে। তাই খোলা চিনি কেজিপ্রতি ১২৫ টাকা ও প্যাকেটজাত চিনি কেজিপ্রতি ১৩৫ টাকা নির্ধারণের জন্য ট্যারিফ কমিশনে চিঠি পাঠানো হয়েছে।

এদিকে চিনির দাম নির্ধারণ ও বাস্তবায়নে সরকার ও ব্যবসায়ীদের যৌক্তিক অবস্থানে থাকা প্রয়োজন বলেই জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদেরা।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, কোম্পানি থেকে মিলছে না চিনি। পাশাপাশি বাজার থেকে ‘হাওয়া’ হয়ে গেছে প্যাকেটজাত চিনি। তাই দোকানে চিনি রাখছেন না তাঁরা। 

এ ছাড়া বাজার ঠিক না করে দাম নির্ধারণ করে কোনও লাভ হবে না বলেও জানান দোকানিরা। দাম বাড়ার কারণে চিনি বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে বলেই জানিয়েছেন ভাই ভাই জেনারেল স্টোরের মালিক সহিদুল ইসলাম। 

তিনি বাঙলার কাগজকে বলেন, ৬ হাজার টাকার ৫০ কেজির বস্তা এখন ৬ হাজার ৪ শ টাকা দিয়ে কিনেছি। ১৪০ টাকা দরে চিনি বিক্রি করছি। দাম বাড়ার কারণে চিনি বিক্রি অর্ধেকে নেমেছে। যাঁরা আগে এক কেজি চিনি কিনতেন, তাঁরা আধা কেজি কিনছেন।

উল্লেখ করা যেতে পারে, এর আগে চিনির দাম বেঁধে দিয়েছিলো সরকার। সে সময় আমদানিকারকেরা বাজারে চিনি না ছাড়ায় সঙ্কটের সৃষ্টি হয়।