জঙ্গিবাদ নির্মূল করার উপায়

জঙ্গিবাদ নির্মূল করার উপায়

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : দেশে জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠার চেষ্টা করে বিশেষ কিছু সময়ে। সেই সময়গুলোতে একটু সতর্ক থাকলেই জঙ্গিরা তেমন সুবিধা করতে পারে না। আর সেই সময়গুলো হলো : রমজানের সময়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক দিবসগুলোর কিছু আগে ও পরে, বইমেলার সময় এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংক্রান্ত দিবসগুলোর কিছু আগে ও পরে। সারা বছরের চেয়ে এসব সময়ে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একটু তৎপর হলেই জঙ্গিদের নির্মূল করা সম্ভব হবে। তবে শুধু এসব দিবসের আগে ও পরে নয়; সারা বছরই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে, তবেই নির্মূল হবে জঙ্গিবাদ।

জঙ্গিবাদের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে।

সূত্র জানায়, রমজান এলে বিভিন্ন ধর্মীয় লেবাসে জঙ্গিরা লিফলেট বিতরণের চেষ্টা করে। এ সময় বাংলাদেশে তাবলিগের মাধ্যমে জঙ্গিরা বিভিন্ন মসজিদে গিয়ে মানুষকে ব্রেনওয়াশের অপচেষ্টা চালায়।

জানা গেছে, আগস্ট মাস বাংলাদেশের জন্য এক কলঙ্কময় মাস। আর এ মাসেই জঙ্গিরা সবচেয়ে বেশি তৎপরতা চালিয়ে থাকে। তা ছাড়া মার্চ এবং ডিসেম্বর মাস স্বাধীনতা ও বিজয়ের মাস হওয়ায় এ মাসেও তাদের অপতৎপরতা থাকে। পাশাপাশি ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস, একুশে ফেব্রুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারিজুড়ে বইমেলা ঘিরেও জঙ্গিদের তৎপরতা থাকে। এক্ষেত্রে তারা প্রগতিশীল লেখকদেরও অনেকক্ষেত্রে টার্গেট করে থাকে। মূলত এ কারণেই বাংলাদেশে বসে অনেকেই প্রগতিশীল লেখায় উৎসাহ পান না বলেই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্কীয়া ও আনসার আল ইসলাম নামক জঙ্গি দল। এর মধ্যে জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া বান্দরবান এলাকায় কিছুটা সক্রিয় থাকলেও, এখন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অভিযানের মুখে নিশ্চুপ। তবে তারা এখনও জঙ্গিবাদি কার্যক্রম পরিচালনা করতে কিছুটা সক্রিয় রয়েছে। আর আনসার আল ইসলাম দেশের বিভিন্ন স্থানেই জঙ্গি তৎপরতা চালাতে তৎপর রয়েছে। পাশাপাশি কিছুটা তৎপর রয়েছে হিযবুত তাহ্‌রীর, আল্লাহর দল এবং নব্য জেএমবি নামক জঙ্গি দল। এসব জঙ্গি দলের মধ্যে হিযবুত তাহ্‌রীর রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পোস্টার সাঁটাতে তৎপর। পাশাপাশি তারা অনলাইনেও বিভিন্ন বৈঠক করে থাকে।

সূত্র জানায়, হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলা দেশের সবচেয়ে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা ছিলো। এর আগে ও পরে এমন হামলা বাংলাদেশে হয় নি। আর হলি আর্টিজান হামলার পর বেশ কয়েকটি অপারেশনে জঙ্গিরা এখন প্রায় কোণঠাসা হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নজরদারিই পারে জঙ্গিবাদকে নির্মূলে বড় ভূমিকা রাখতে।