টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে সুখবর পেলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে সুখবর পেলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলা কাগজ : টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে এক ধাপ ওপরে উঠলো বাংলাদেশ। আজ বুধবার (৪ মে) আইসিসি প্রকাশিত সাপ্তাহিক র‌্যাঙ্কিংয়ে নবম স্থান থেকে অষ্টম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শ্রীলঙ্কারও এক ধাপ উন্নতি ঘটেছে। দশম স্থান থেকে নবম স্থানে উঠে এসেছে শ্রীলঙ্কা। এ সংস্করণে র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা ভারত নিজেদের অবস্থান আরও সংহত করেছে। ২৩৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে আটে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের চেয়ে ৩ পয়েন্ট কম নিয়ে ৯-এ। সর্বশেষ গত মার্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র করেছিলো বাংলাদেশ। আইসিসির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, নতুন এই র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি ম্যাচগুলোর ফল ৫০ শতাংশ আমলে নেওয়া হয়েছে এবং তারপর থেকে এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলোর ফল শতভাগ বিবেচনা করা হয়েছে। ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকেই দারুণ ফর্মে আছে ভারত। রোহিত শর্মার অধিনায়কত্বে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে ভারত। ২৭০ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রোহিত শর্মার দল। ২৬৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ইংল্যান্ড। পাকিস্তান ২৬১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে। পরের দলগুলো যথাক্রমে দক্ষিণ আফ্রিকা (২৫৩), অস্ট্রেলিয়া (২৫১), নিউজিল্যান্ড (২৫০) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২৪০)। আফগানিস্তান ২২৬ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দশে এবং ১৯৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ১১তম জিম্বাবুয়ে। দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার রেটিং পয়েন্টে কোনও পরিবর্তন হয় নি। তবু প্রোটিয়ারা র‌্যাঙ্কিংয়ের চারে ও অস্ট্রেলিয়া পাঁচে উঠে এসেছে। দুই ধাপ অবনমন ঘটেছে নিউজিল্যান্ডের। ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থানের কোনও পরিবর্তন ঘটে নি। ৯৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে সাতে তামিম ইকবালের দল। ১২৫ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে নিউজিল্যান্ড, তবে ১ পয়েন্ট কম নিয়ে তাঁদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে দ্বিতীয় ইংল্যান্ড। ১০৭ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে তিনে অস্ট্রেলিয়া; আর চারে ভারত (১০৫) ও পাঁচে পাকিস্তান (১০২)। বাংলাদেশের চেয়ে ৪ রেটিং পয়েন্ট বেশি নিয়ে ছয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা (৯৯)। ওয়ানডে র‌্যাঙ্কিংয়ে ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২২ সালের মে পর্যন্ত বিবেচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দুই বছরে অনুষ্ঠিত ম্যাচের ফল ৫০ শতাংশ এবং সর্বশেষ ১২ মাসের ফল শতভাগ বিবেচনা করা হয়েছে। টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের অবস্থান আরও সংহত করেছে। ১১৯ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ভারতের সঙ্গে ৯ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে প্যাটি কামিন্সের দল (১২৮)। ২০১৯ সালের মে থেকে ২০২১ সালের মে পর্যন্ত ম্যাচের ফল ৫০ শতাংশ এবং তারপর অনুষ্ঠিত ম্যাচগুলোর ফল শতভাগ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে এ র‌্যাঙ্কিংয়ের ক্ষেত্রে। গত মার্চে পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট জয়ের সুবাদে র‌্যাঙ্কিংয়ে ভারতের সঙ্গে ব্যবধান আরও বাড়াতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া। তবে তৃতীয় নিউজিল্যান্ড (১১০) ও চতুর্থ দক্ষিণ আফ্রিকার (১১০) মধ্যে শক্ত লড়াই চলছে। ৯৩ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে পাকিস্তান। তারপর তিনটি দল যথাক্রমে ইংল্যান্ড (৮৮), শ্রীলঙ্কা (৮১) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ (৭৭)। ১৯৯৫ সালের পর এই প্রথম টেস্টে এতোটা অবনমন হলো ছয়ে নেমে যাওয়া ইংল্যান্ডের। ৫১ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ৯-এ বাংলাদেশ। আর দশে থাকা জিম্বাবুয়ের পয়েন্ট ২৫।