ডোনাল্ড লু ঢাকায় : দিনব্যাপী বৈঠক-আলোচনা
নিজস্ব প্রতিবেদন, বাঙলার কাগজ : দুদিনের সফরে ঢাকায় এসেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ সফরের অংশ হিসেবে বাংলাদেশে এলেন তিনি। ভারতের দিল্লি থেকে রওনা হয়ে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকায় পৌঁছেন এ কূটনীতিক। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আমেরিকা অনুবিভাগের মহাপরিচালক নাইম উদ্দিন আহমেদ ও ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস। বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ও নৈশভোজে অংশ নেন।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের টুইটে ডোনাল্ড লুকে স্বাগত জানিয়ে বলা হয়, ঢাকা সফরে তিনি বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সেখানে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারের বিষয়ে আলোচনা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, আজ সকালে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতের কথা রয়েছে ডোনাল্ড লুর। পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র) মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে তিনি বৈঠক করতে পারেন।
এ ছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সঙ্গেও তাঁর আলোচনা হতে পারে। সফর শেষে আজ রাতেই ঢাকা ত্যাগ করার কথা রয়েছে লুর।
শনিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ ও জাপান ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে ‘জাপানোলজি ইন নিউ এরা’ শীর্ষক দুদিনের আন্তর্জাতিক হাইব্রিড সম্মেলনের উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর কাছে লুর সফরে আলোচনা ও মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হবে কি-না এমন প্রশ্ন করেন। জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের একটা অনুরোধ থাকবে। দে শুড রিকনসিডার দ্য ডিসিশন।’
১০ জানুয়ারি এক মিডিয়া নোটের মাধ্যমে ডোনাল্ড লুর বাংলাদেশসহ ভারত সফরের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। মিডিয়া নোটের তথ্য অনুযায়ী, ১২ থেকে ১৫ জানুয়ারি ভারত ও বাংলাদেশ সফর করবেন ডোনাল্ড লু। এ সময় জ্বালানি, বাণিজ্য, নিরাপত্তা সহযোগিতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, শ্রম, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন অগ্রাধিকারের বিষয়ে বৈঠকে অংশ নেবেন তিনি।
দিল্লিতে সফর প্রসঙ্গে মিডিয়া নোটে বলা হয়েছিলো, ডোনাল্ড লু ভারত-ইউএস ফোরামে অংশ নেবেন। ঊর্ধ্বতন ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। সেখানে জ্বালানি, বাণিজ্য, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার সহযোগিতা আরও সম্প্রসারণ করার বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে।
বাংলাদেশ সফর প্রসঙ্গে বলা হয়, ডোনাল্ড লু ঢাকা সফরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। সেখানে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার ও অর্থনৈতিক সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হবে।
এ ছাড়া সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও সাক্ষাতের বিষয়টি উল্লেখের পাশাপাশি শ্রম ও মানবাধিকারের প্রেক্ষাপটে ভাবনা শুনবেন বলে জানানো হয় মিডিয়া নোটে।